স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর : আরএসএসের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ। কর্নাটকে বরখাস্ত হলেন সরকারি কর্মী। তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রবীণ কুমার কেপি নামের কর্নাটকের পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিক সম্প্রতি আরএসএসের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সংঘের ইউনিফর্ম পরে প্যারেডেও অংশ নেন। শতবর্ষ উপলক্ষে রায়চুর জেলার লিংকসুগুড়ে জমায়েতের আয়োজন করেছিল আরএসএস। সেখানেই সংঘের পোশাক পরে প্যারেডে অংশ নেন ওই পঞ্চায়েত অফিসার। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়। এবং তাঁকে সাসপেন্ড করে সরকার।
যা নিয়ে আবার রাজনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে। বিজেপির প্রশ্ন, আরএসএস তো কোনও নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। সংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে সরকারি চাকরি যায় কোন যুক্তিতে? পালটা কংগ্রেসের যুক্তি, সার্ভিস রুলেই বলা আছে সরকারি কর্মীরা প্রকাশ্যে কোনওরকম রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যকলাপে অংশ নিতে পারবে না। আর আরএসএস নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক সংগঠন। যদিও বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্যর দাবি, এই সাসপেনশন পুরোপুরি বেআইনি। আদালত আগেই জানিয়েছে সরকারি কর্মীরা আরএসএসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন। আদালতে মামলা করলে এই সাসপেনশন টিকবে না।
দিনকয়েক ধরেই কর্নাটকে আরএসএস নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। সে রাজ্যে আরএসএসকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। সেই আর্জি পুরোপুরি না মানলেও এবার ঘুরপথে সংঘের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। সচরাচর আরএসএসের শাখা সরকারি স্কুল-কলেজে চলে। স্বয়ংসেবকদের শরীরচর্চা বা অন্য কর্মসূচির জন্যও সরকারি সম্পত্তি ব্যবহৃত হয়। সে সব বন্ধ করে দিতে পারে কংগ্রেস সরকার। কংগ্রেসের দাবি, সরকারি সম্পত্তিতে কোনওভাবেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ চলতে পারে না।

