স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুন। তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে উদ্যোগ নিয়েছে তার ‘কঠোর বিরোধিতা’ করেছে চীন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে ভুল বার্তা পাঠানো এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বিচক্ষণতার সঙ্গে তাইওয়ানের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পরিচালনা করা।”চীনের এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণের একদিন আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান ‘ইউএস-তাইওয়ান ইনিশিয়েটিভ অন টুয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি ট্রেড’ ঘোষণা করে।চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে, যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও একদিন আবার সংযুক্ত হবে।
আন্তর্জাতিক মহলে তাইওয়ানের সবথেকে শক্তিশালী সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশ দিন দিন নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো দৃঢ় করছে। যা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত দেশ চীনের।চীন বার বার বলেছে, তাইওয়ান তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল একটি বিষয়। যেটির কারণে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে।তাইওয়ানের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক চুক্তিরও বিরোধিতা করে চীন।
এদিকে, তাইওয়ান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাকে তারা তাদের প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় সমর্থনের আরেকটি প্রমাণ স্বরূপ দেখছে।গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) ঘোষণা করে।তাইওয়ান একদিন তাতে যোগ দেওয়ার আশা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য উদ্যোগটিতে তারা তাদের সেই আশা পূরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করছে।বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠকে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং বলেন, ‘‘বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় দ্বীপটির একটি অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে।”“যুক্তরাষ্ট্র সরকার এটি উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে এবং নিরাপত্তাকে সুসংহত করতে আমাদের দেশের সঙ্গে তাদের অবশ্যই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।”
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির যে ‘নাটকীয় পরিবর্তন’ হয়েছে তাতে ‘তাইওয়ানের বৈশ্বিক কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে’ বলেও মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী সু।‘সেমিকন্ডাক্টর’ এর বড় উৎপাদক দেশ তাইওয়ান। বিশ্বজুড়ে যেটির সংকটের কারণে গাড়িসহ কিছু কিছু বৈদ্যুতিক ভোক্তাপণ্য উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।