স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৮ মে : গোমতী জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন অচল। রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক। জানা যায়, ২০১২ সালে ১৯ জুন গোমতী জেলা হাসপাতাল উদ্বোধন হয়। যেদিন থেকে এই টেপানিয়া স্থিত জেলা হাসপাতাল উদয়পুরে চালু হয়েছে সেদিন থেকে অভিযোগের শেষ নেই। ১৩ বছর পরেও অভিযোগের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে একমাত্র প্রশাসনিক গাফিলতি কারণে। সুশাসন রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের কাছে পৌঁছালেও, পৌঁছায়নি সাধারণ মানুষের পরিষেবা ক্ষেত্র সহ প্রশাসনিক কাজকর্মে।
এমন অভিযোগ রোগীদের মুখে মুখে। কারণ গোমতী জেলা হাসপাতালের রোগীদের পানীয় জল সঠিকভাবে মিলছে না, শৌচালয় গুলো ব্যবহারের অযোগ্য, রাতের বেলা একাংশ ডাক্তার বাবুদের খুঁজে পাওয়া যায় না পরিষেবা দেওয়ার জন্য। শনিবার রাতে সামান্য বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে গেছে। সমগ্র হাসপাতাল ছিল কয়েক ঘণ্টা অন্ধকারে। জেনারেটরের দায়িত্বে থাকা কর্মীরকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আইসিইউ -র বেশ কয়েকজন রোগীকে পরিষেবা দেওয়া যায়নি। ফলে দুলাল মজুমদার নামে এক রুগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কান পাতলে শোনা যায়। তারপর রবিবার সকাল থেকে সিটি স্ক্যান অচল। দূর দুরান্ত থেকে রোগীরা অগ্রিম বুকিং নিয়ে সিটি স্ক্যান করার জন্য এসে ঘুরে যেতে হয়।
কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন এটা তাদের দেখার বিষয় না। যারা সিটি স্ক্যান চালানোর দায়িত্বে আছে তারাই দেখছে ব্যাপারটা। চিকিৎসক জানান বেশী সমস্যা হলে রোগীদের আগরতলায় রেফার করা হচ্ছে। এদিকে রবিবার অগ্রিম বুকিং নিয়ে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য রোগীরা এসে ফিরে যেতে হয়েছে। এদিকে আইসিইউতে পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এক সিস্টার যন্ত্রণায় রোগীরা নাজেহাল। রোগী এবং রোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রতি নিয়মিতভাবে সঠিক পরিষেবা দিচ্ছে না রোগীদের। সব মিলিয়ে হাসপাতালে চলছে একটা অরাজকতা। একটি জেলা হাসপাতালে যদি এমন পরিষেবা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? এই প্রশ্ন সরকারের উদ্দেশ্যে রুগীর পরিবারের।