স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ মে : আমেরিকায় গুলি চালিয়ে খুন করা হল ইজ়রায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইহুদি সংগ্রহশালায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ওই দু’জন। সেখান থেকে বেরোনোর সময় দু’জনকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। ঘটনার নিন্দা করেছে ইজ়রায়েল।
নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড অবশ্যই ইহুদিবিদ্বেষ। এটা এখনই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমেরিকায় হিংসা এবং বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা।”
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিকাগোর বাসিন্দা, ৩০ বছর বয়সি ইলিয়াস রডরিগেজ়কে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ওয়াশিংটন পুলিশ। ওয়াশিংটন পুলিশের প্রধান পামেলা স্মিথকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের কোনও অপরাধমূলক অতীত নেই। কেন তিনি ইজ়রায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীর উপর হামলা চালালেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে রডরিগেজ়কে আটক করার পরেই প্যালেস্টাইনের মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই কর্মীদের মধ্যে এক জন মহিলা, অপর জন পুরুষ। তাঁরা উত্তর-পশ্চিম ওয়াশিংটন ডিসির থার্ড অ্যান্ড এফ স্ট্রিটের কাছে ছিলেন। সেখানেই তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। যেখানে এই হত্যাকাণ্ডটি হয়, সেখান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বেই রয়েছে আমেরিকার গোয়েন্দা দফতর এফবিআই-এর ফিল্ড অফিস। রয়েছে মার্কিন অ্যাটর্নির দফতরও। এমন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম সমাজমাধ্যমে প্রথম এই ঘটনার কথা জানান। এফবিআই প্রধান কাশ পটেল জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত। মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তাঁর দফতর যোগাযোগ রেখে চলছে।
খুনের ঘটনায় মুখ খুলেছে ইজ়রায়েলও। রাষ্ট্রপুঞ্জে সে দেশের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন ‘ইহুদি-বিরোধী এই নৃশংস ঘটনার’ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “যাঁরা এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত, মার্কিন প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা রাখি।” একই সঙ্গে খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি জানান, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ করে যাবে ইজ়রায়েল।