স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ মে : মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ভার্সেস বাংলাদেশ সেনার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বুধবার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন শাসক দল বিএনপির সুরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার সেনাবাহিনীর অভিভাবক হিসাবে কাজ করে। কিন্ত গত ন’মাস ধরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অভিভাবকহীন। এই কারণেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বার বার সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর বিরোধিতা করেছে বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। দিন দুই আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, “অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।” এদিন সেনাপ্রধান আরও এক কদম এগিয়ে ইউনুসের সরকারের সংস্কারের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে।” সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঢাকার সেনানিবাসে ‘সেনা দরবারে’ উপস্থিত সেনা অফিসারদের ওয়াকার-উজ-জামান আশ্বস্ত করেন, আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে একটি নির্বাচিত সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবেই। ইঙ্গিতবাহীভাবে আরও বলেন, জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করণীয় তাই করবে সেনাবাহিনী। তাঁর কথায়, “ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।” ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য মহম্মদ ইউনুস সরকারের জন্য অশনি সঙ্কেত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গদি না ছাড়লে সেনা অভ্যুত্থান হতে পারে পদ্মাপাড়ে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। বুধবার মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সঙ্গে ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জেনারেল ওয়াকর। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে একটি নির্বাচিত সরকার।