স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ জুন : রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রী কলেজগুলির মধ্যে অবিলম্বে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করার জন্য দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ দাবি জানিয়ে আসছে। অথচ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে না। প্রত্যেকটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ অতিথি অধ্যাপক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। শনিবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই নিন্দা জানিয়েছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের প্রদেশ সম্পাদক গৌরব দাস।
তিনি বলেন, রাজ্যের কলেজ গুলোর জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের ২০৭ পদ অবিলম্বে সরকারের পূরণ করার প্রয়োজন। নাহলে কলেজগুলির পঠন-পাঠন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের কোচিং সেন্টার গুলির জন্য নির্দিষ্ট ভাবে কোন গাইডলাইন না থাকায় বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যাদের কাছে ছেলেমেয়েরা কোচিং নিতে যাচ্ছে তাদের যোগ্যতা অনেক কম। তাই এদিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নির্দিষ্ট গাইডলাইন আনা দরকার। নাহলে যে খুশি সে কোচিং সেন্টার খুলে ব্যবসায় উঠে পড়ে লাগছে। এক প্রকার ভাবে ছেলে খেলা চলছে কোচিং সেন্টারের নামে।
পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, বহু শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন যারা বিদ্যালয়ের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কিংবা বাড়িতে বিদ্যা ব্যবসা করছেন। সরকারের দ্রুত প্রয়োজন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। কারণ সরকার এ বিষয়ে অবগত রয়েছে। অথচ অদৃশ্য কারণে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একই সাথে দাবি করেন বহু কোচিং সেন্টার রয়েছে যেখানে লক্ষ্য করা যায় কক্ষের অনুপাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে রীতিমতো এদিন অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরো জানান ২৯-৩০ এবং ৩১ মে রায়পুরে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ত্রিপুরা থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সাংগঠনিক বিষয় সহ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব।