স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ এপ্রিল : বিদেশে গিয়ে ফের ভারত সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী। বস্টনে প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতে নির্বাচন কমিশন অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করছে। গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাতেই বড়সড় গলদ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে লন্ডন সফরে গিয়ে ‘ভারতবিরোধী’ মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ।
গতবছর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোট। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই ব্যাপক কারচুপি নিয়ে সুর চড়িয়েছিল হাত শিবির। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বস্টনে বক্তৃতা দেন রাহুল। প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় গিয়ে তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের যত জনসংখ্যা, তার চেয়ে বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নির্বাচন কমিশন আমাদের ভোটের হার জানায়। সন্ধে সাড়ে সাতটার সময়ে জানা যায়, মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে আরও ৬৫ লক্ষ ভোট পড়েছে। বাস্তবে এমনটা অসম্ভব।”
এখানেই না থেমে লোকসভার বিরোধী দলনেতা সরাসরি আঙুল তোলেন নির্বাচন কমিশনের দিকে। ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে আপোস করছে সেটা আমাদের কাছে খুবই পরিষ্কার। গোটা সিস্টেমেই বিরাট সমস্যা রয়েছে।” তবে এই প্রথম নয়। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পরেই রাহুল বলেছিলেন, ৫ বছরের মধ্যে ৩২ লক্ষ নয়া ভোটারকে সেরাজ্যে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে ৫ মাসের মধ্যে ৩৯ লক্ষ নয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়। বিরাট কারচুপির দাবি করে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চেয়েছিলেন রাহুল।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মহাজুটি ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে জয় পায়। সেখানে বিরোধী শিবির জেতে মাত্র ৪৬টি আসনে। মুম্বই সংলগ্ন ৩৬ টি আসনের ১০টি আসন পেয়েছে উদ্ধব সেনা। কংগ্রেস মাত্র ৩টি ও সপা একটি। বিরোধী শিবিরের বিরাট ব্যর্থতায় শুরুতে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ইভিএমের দিকে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে লন্ডন সফরে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, “ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন। বিরোধীদের স্বর দমন করা হচ্ছে।” সেই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। আবারও বিদেশের মাটিতে গিয়ে ভারতের সমালোচনা শোনা গেল রাহুলের মুখে।