স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ মে : ইউনুস সরকারের হিন্দু নির্যাতন আর বিচারের নামে প্রহসন একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল! এবার জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে এবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল। তাঁর জামিন স্থগিত হওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ঢাকার সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু তার মাঝে সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আইনজীবী হত্যামামলায় চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তারি মঞ্জুর করেছে। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পাশাপাশি এবার আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার মামলাতেও ধৃত বাংলাদেশের সম্মিলিত হিন্দু জাগরণ জোটের মুখপাত্র। এরপর এই সংক্রান্ত শুনানি হবে ভারচুয়ালি। মঙ্গলবারই প্রথম ভারচুয়াল শুনানির সম্ভাবনা।
সোমবার হত্যা মামলায় চিন্ময় প্রভুর ‘গ্রেপ্তারি’ নিয়ে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির বিষয়টি নিয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আইনজীবী আলিফ খুনের মামলায় পুলিশের আবেদন অনুযায়ী সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। তবে নিরাপত্তার জন্য তাঁকে সরাসরি আদালতে হাজির করা হবে না। জেল থেকে ভারচুয়ালি হাজির করে আদালতে শুনানি চলবে।
চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া চারটি মামলার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যা মামলা অন্যতম। অন্য তিনটি মামলা ছিল পুলিশ ও আইনজীবীদের উপর হামলা, বিচারকাজে বাধা এবং আদালত এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিবেশ। জানা যাচ্ছে, বাকি তিন মামলার শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার, ৬ মে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় প্রথমে চিন্ময় প্রভুর জামিন মঞ্জুর করেছিল ঢাকা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে জামিন স্থগিতের আবেদন নিয়ে আদালতে অন্য বিচারপতির এজলাসে যান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তা মঞ্জুর হওয়ায় জামিন স্থগিত হয়ে যায়। আবার চট্টগ্রামের জেলে ফিরতে হয় চিন্ময় প্রভুকে। রবিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বর্ষীয়ান আইনজীবীর মৃত্যুতে তা বন্ধ ছিল। এরপর সোমবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল তাঁকে। আর এই ঘটনা যে ইউনুস প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই ঘটল এবং চিন্ময় প্রভুকে বন্দি রাখারই ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।