স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ এপ্রিল : শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পোপ ফ্রান্সিস । ভ্যাটিকান সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবারই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ইস্টার পালন করেছিলেন তিনি। গাজায় যুদ্ধ বন্ধের ডাকও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ৮৮ বছর বয়সি পোপ। তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও সকলকে চমকে দিয়ে রবিবার ইস্টারের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংকটজনক অবস্থায় ইটালির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল পোপ ফ্রান্সিসকে। ২১ বছর বয়সে তার একটি ফুসফুসের অংশ বাদ দিতে হয়। যার জেরে সমস্যা ছিলই। সম্প্রতি সেটাই গুরুতর আকার নেয়। শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা যায়, তাঁর দুটি ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। পাশাপাশি বুকের এক্স-রে ও আরও যে সব পরীক্ষা করানো হয়েছিল তার রিপোর্টও খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না।
তবে খানিকটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান পোপ। তারপরে চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। অসুস্থতার কারণে গুড ফ্রাইডের উপাসনা বা ইস্টারের বিশেষ উপাসনা- কোনও কিছুতেই উপস্থিত থাকতে পারেননি পোপ। কিন্তু রবিবার আচমকাই তিনি হাজির হন ইস্টারের বিশেষ জমায়েতে। সেন্ট পিটার্স স্কোয়্যারে ৩৫ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থীর দিকে হাত নাড়েন। ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে বলেন, “ভাই এবং বোনেরা, হ্যাপি ইস্টার।”
গাজার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, “সবপক্ষের কাছে আবেদন জানাই, অবিলম্বে যুদ্ধ থামান।” কিন্তু এই বার্তা দেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকানের তরফে কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল জানান, সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সারাজীবন ঈশ্বর এবং চার্চের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে প্রথম পোপ হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ফ্রান্সিস। নিজের কার্যকালেও একাধিক ছকভাঙা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব।