স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ এপ্রিল : ‘খলিস্তানিদের বন্ধু’ জাস্টিন ট্রুডোর জমানা শেষ হয়েছে। কিন্তু কানাডার হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডব থামল না। আবারও কানাডায় মন্দিরে হামলা চালাল খলিস্তানিরা। কেবল মন্দির নয়, গুরুদ্বারেও গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত কানাডায় বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখরা।
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি মাসেই স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন মার্ক কারনি। কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই হামলা হল সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের মূল ফটক-সহ একাধিক এলাকায় কালো কালি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা গোটা অক্ষরে সেখানে লেখা রয়েছে ‘খলিস্তান’। সেই ভিডিও শেয়ার করে কানাডার হিন্দুদের সংগঠন কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্স। তাদের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, চুপ করে থাকলে কিছু হবে না। কানাডার সকল মানুষকে একজোট হয়ে এই জঘন্য আচরণের বিরোধিতা করতে হবে।
কেবল হিন্দু মন্দির নয়, শিখদের পবিত্র গুরুদ্বারেও হামলা চালিয়েছে খলিস্তানিরা। জানা গিয়েছে, ভ্যাঙ্কুভারের রস স্ট্রিট গুরুদ্বারের গায়েও একাধিক খলিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে। ওই গুরুদ্বারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা খালসা দিওয়ান সোসাইটির অভিযোগ, কানাডায় বসবাসকারী শিখদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে মন্দির বা গুরুদ্বার-কোনও হামলাতেই কানাডা প্রশাসনের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে কানাডার মন্দিরে হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। হিন্দুদের মারধর পাশাপাশির তাণ্ডব চালায় হলুদ পতাকাধারীরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। এই ঘটনায় কানাডার সরকারকে একহাত নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র প্রতিবাদ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হামলার জেরে বাতিল করতে হয় ভারতীয় হাই কমিশনের অনুষ্ঠানও। তারপরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও খলিস্তানি তাণ্ডবের ছবিটা পালটায়নি সেদেশে।