Wednesday, January 22, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদনেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন, ইঙ্গিত ডাউনিং স্ট্রিটের

নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন, ইঙ্গিত ডাউনিং স্ট্রিটের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ নভেম্বর:   ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্য ভ্রমণে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট।গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু-সহ সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এবং এক হামাস নেতার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)এরপরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিল। ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, সরকার‘আইনি বাধ্যবাধকতা’ পূরণ করবে।

বিবিসি জানায়, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্য। চুক্তি অনুযায়ী দেশটির এ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।এ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে গেলে তিনি আটক হবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র ‘অনুমানমূলক’ কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।

যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অ্যাক্ট ২০০১ অনুযায়ী, এ আদালত কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে একজন মন্ত্রী অনুরোধটি যথাযথ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে পাঠান। আইসিসি’র পরোয়ানা জারির বিষয়ে ওই বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হলে তিনি তখন যুক্তরাজ্যে আদেশটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেন।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক আইনে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেগুলো সব সময়ই মেনে চলে যুক্তরাজ্য সরকার।এ প্রক্রিয়ায় কোন মন্ত্রীকে নিয়োগ করা হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি স্টারমারের মুখপাত্র। যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লর্ড হারমারের কাছ থেকে কোনও আইনি পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি।

সাধারণত, যুক্তরাজ্যে গোটা বিশ্ব থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও প্রত্যর্পণের যেসব অনুরোধ আসে, সেগুলো কার্যকরের আগে প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিমের কাছে তা পাঠাতে হয়।যুক্তরাজ্যের আইসিসি বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার কিংবা হস্তান্তর করা উচিত কি-না সে বিষয়ে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে।আইসিসি গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তারা আইসিসি-র স্বাধীনতায় শ্রদ্ধাশীল এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য তারা তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য