স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ জুন : মার্কিন হামলার ক্ষত এখনও শুকোয়নি! সেই ক্ষতে এ বার হামলা চালাল ইজ়রায়েল। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ফোরডোর প্রবেশের রাস্তায় বোমা ফেলল তারা। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা দফতর (আইডিএফ) জানিয়েছে, ফোরডোয় প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করতে, ওই পরমাণুকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তায় হামলা চালানো হয়েছে সোমবার সকালে (ইজ়রায়েলি সময়)।
গত ১৩ জুন ইরানে নতুন করে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। তার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে সামরিক উত্তেজনা। ইজ়রায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইরানও। সোমবার দুই দেশের সংঘাত ১১তম দিনে পড়ল। সোমবার সকাল থেকেই ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনা। তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। শুধু তা-ই নয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী রেভলিউশনারি গার্ডের হেডকোয়ার্টারেও হামলা চালানো হয়েছে। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ় জানিয়েছেন, মূলত বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় এবং সামরিক দফতরই ইজ়রায়েলি বাহিনীর লক্ষ্য। তেহরানে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের বাসিজ বাহিনীর সদর দফতর, নিরাপত্তা বিষয়ক সদর দফতর, এভিন জেল ইত্যাদি। সোমবার দুপুরে এভিনের প্রবেশপথের অদূরেও ইজ়রায়েল হামলা চালিয়েছে।
সোমবার ইজ়রায়েলের অন্যতম লক্ষ্যই ছিল ফোরডো। রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। তার মধ্যে একটি ছিল ফোরডো। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি পাহাড়ের নীচে রয়েছে এই গবেষণাকেন্দ্রটি। এটিই ইরানের সবচেয়ে গভীর, সুরক্ষিত এবং গোপনীয় পরমাণুকেন্দ্র। পাহাড়ের নীচে মাটি থেকে প্রায় ৩০০ ফুট গভীরে এই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে বাইরের কোনও শত্রু আক্রমণ করলে এই কেন্দ্রের গায়ে তার আঁচ না লাগে। ফোরডো থেকে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপন্ন হয়, যা ইজ়রায়েলের তো বটেই, আমেরিকারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। রবিবার আমেরিকা ফোরডোয় বি২ বম্বার ব্যবহার করে বাঙ্কার বাস্টার বোমা ছোড়ে।