স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ জুলাই: জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা করতে মধ্যস্থতাকারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে হামাস জবাব দেওয়ার একদিন বাদে নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি গত মে মাসের শেষার্ধে এই পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। ওই মাসেরই শুরুতে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরোক্ষ আলোচনা হয়েছিল কায়রোতে।
হামাস সবশেষ জবাবে কী বলেছে তা প্রকাশ্যে না এলেও ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসি বলেছেন, বাইডেন যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রেখেছেন, সে বিষয়ে নতুন কোনো দাবি করেনি হামাস।যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস তার অবস্থানে ‘বেশ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ আনতে সম্মত হয়েছে।“আমরা এক জটিল অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।”তিনি এও বলেছেন, “এর মানে এই নয় যে কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তির আলোচনা শেষ হয়ে যাবে।”ওই কর্মকর্তা বলেন, বাইডেন ও নেতানিয়াহু ফোনালাপ সেরেছেন, যে আলোচনায় জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির সমাঝোতার বিষয় গুরুত্ব পায়।
হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুধবার জানিয়েছে, তারা মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আলোচনা চালিয়েছেন।বিবিসি লিখেছে, যুদ্ধের অবসান ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারই এখন পর্যন্ত হামাসের দাবি। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা লড়াইয়ে কেবল সাময়িকভাবে বিরতি মেনে নেবে।ইসরায়েলের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন গাজা যুদ্ধবিরতির তিন পর্বের প্রস্তাব তুলে ধরেন ।এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের চূড়ান্ত ধাপে গাজার বড় ধরনের পুনর্গঠনের কথা বলা আছে। গত ছয় মাসের যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই ভূখণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে প্রথম ধাপে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে সংঘাতের স্থায়ী অবসান এবং গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।তৃতীয় ধাপে গাজার দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন কর্মসূচির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে দাবি করে আসছে ইহুদী রাষ্ট্রটি।এর পাল্টায় গাজায় যে অভিযান ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, তাতে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।