Monday, February 17, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদযতটা গর্জাল, ততটাই বর্ষাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৬ জনের।

যতটা গর্জাল, ততটাই বর্ষাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৬ জনের।

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৭ মে:  যতটা গর্জাল, ততটাই বর্ষাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রবিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার পর অনেকটা শক্তিক্ষয় হলেও তার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ৬ জনের। ভোলা, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম, বরিশালে জলোচ্ছ্বাস ও দেওয়াল ভেঙে এই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রেমালের দাপটে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে একটানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সোমবার সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আরও কয়েক ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। তার পর ধীরে ধীরে তা একেবারে দুর্বল হয়ে যাবে। তবে সোমবার সারাদিন বৃষ্টি (Rain)হবে।সোমবার সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আরও কয়েক ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। তার পর ধীরে ধীরে তা একেবারে দুর্বল হয়ে যাবে। তবে সোমবার সারাদিন বৃষ্টি (Rain)হবে।

রবিবার রাত প্রায় ৮টা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে রেমাল। গতিপথ ছিল খেপুপাড়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে মংলা ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি অংশে। খেপুপাড়া উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে অগ্রসর হতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে রাতেই সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা-সহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়। সুন্দরবন এলাকা রবিবার রাত থেকেই ৫ ফুট জলের নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। সাতক্ষীরায় জলস্তর বাড়ল প্রায় ৭ ফুট।

রেমাল আছড়ে পড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কাঁচা বাড়ি ভেঙে আশ্রয়হীন হয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া অনেকে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। গাছপালা ও চাষের জমির ক্ষতি হওয়ার খবর মিললেও তার পরিমাণ এখনও সেভাবে সামনে আসেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা থাকবে রেমালের প্রভাব। এদিকে, ঝড়বৃষ্টির জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে নানা জায়গায়। আবহাওয়া খারাপ থাকায় বন্ধ রয়েছে মেট্রো চলাচলও

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য