Friday, July 26, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশার অসুস্থতায় বেড়েছে তেলের দাম

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশার অসুস্থতায় বেড়েছে তেলের দাম

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ মে: মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় এবং সৌদি বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার খবরে আন্তজার্তিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে।রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তজার্তিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেলের দাম সোমবার দুপুরে ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলে দর ৮৪.৪৩ ডলার পর্যন্ত উঠলেও পরে তা ঠেকেছে ৮৪.৩৯ ডলারে, যা গত ১০ মের পর সর্বোচ্চ।

তেলের বাজারে আরেক বেঞ্চমার্ক যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) জুনের ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলে ৮০.৩৫ ডলার পর্যন্ত উঠলেও শেষ পর্যন্ত ২৩ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৮০.২৯ ডলার। চলতি মে মাসের পর থেকে এটি সর্বোচ্চ দর।ডব্লিউটিআই তেলের জুনের চুক্তি শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। জুলাইয়ের চুক্তিতে ৩১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দর হয়েছে ৭৯.৮৯ ডলার।রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি প্রকল্প উদ্বোধনের পর ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফেরার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং তার সফরসঙ্গীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ানও আছেন তাদের মধ্যে। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে দুর্ঘটনায় পড়ে।অপরদিকে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সোমবার জাপান সফরের কথা থাকলেও তিনি তা বাতিল করেন।

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি জানান, বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যগত বিষয়ের কারণে সফর বাতিল করেছেন ক্রাউন প্রিন্স।৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বলে রোববার সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।আইজি মার্কেটস বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, “যদি বাদশার স্বাস্থ্য খারাপ হয়, তবে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ইতোমধ্যে বাজারে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেটি আরও বাড়বে।”এর ফলে দুইশ দিনের গড় ৮০.০২ ডলার ছাড়িয়ে ডব্লিউটিআইয়ের দর ৮৩.৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানান তিনি।

গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১ শতাংশ বেড়েই শেষ হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে সেটিই ছিল প্রথম সাপ্তাহিক উলম্ফন। তবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার বিবেচনায় এই দর বৃদ্ধিকে খুব পরিবর্তন বলছে না রয়টার্স।নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আর্থিক সেবা কোম্পানি আইএনজির পণ্য কৌশল বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন বলেন, “তেলের বাজার মূলত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আটকে আছে। নতুন কোনো অনুঘটক বা কারণ ছাড়া এই ঘেরাটপ ভাঙতে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান বোঝার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”আগামী ১ জুন ওপেকভুক্ত দেশগুলো ও মিত্রদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য