Saturday, July 27, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদট্রাম্পের নির্দেশেই কাজ করেছিলেন, আদালতে বললেন মাইকেল কোহেন

ট্রাম্পের নির্দেশেই কাজ করেছিলেন, আদালতে বললেন মাইকেল কোহেন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ মে: পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।এই মামলার শুনানিতে সোমবার আদালতে প্রধান সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাম্পের একসময়কার কাছের ও সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।ট্রাম্প এবং কোহেন এদিন একই কোর্টরুমে হাজির হন। আদালকক্ষে কোহেন তার সাক্ষ্যে বলেছেন, তিনি সরাসরি ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার সুবিধার জন্যই কাজ করেছেন।

ট্রাম্পের নির্দেশনাতেই তিনি ঘুষের অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কোহেন বলেন, ২০১৫ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর ভয়ে ছিলেন যে অনেক নারী সামনে আসবে।পর্নো তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় কোনও নেতিবাচক স্টোরি যাতে না ছাপা হয় সেজন্য একটি ট্যাবলয়েডের প্রকাশককেও ঘুষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।বিচারে জুরিরা একটি রেকর্ডিং বাজিয়েছেন। কোহেনের ভাষ্যমতে এই রেকর্ডিং ছিল ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথপোকথনের রেকর্ডিং; যাতে কোহেনকে ট্রাম্প জিজ্ঞেস করেছেন, তাহলে এর জন্য আমাদেরকে কত অর্থ দিতে হবে? ১ লাখ ৫০ হাজার?এক স্টোরি কিনে নেওয়া এবং তা যেন কখনওই প্রকাশ না হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য ন্যাশনাল এনকুইরারের প্রকাশক ডেভিড পেকারকে এই অর্থ দেওয়া নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কোহেনের কথা হচ্ছিল ফোনে।

কোহেন বলেন, কোনওরকম পেপার ট্রান্সেকশন এড়াতে ট্রাম্প এই অর্থ প্রকাশককে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রেকডিংয়ে ট্রাম্পকে এ নির্দেশ দিতে শোনা গেছে।ট্রাম্প,কোহেন এবং পেকার এই তিনজনের এই চক্রান্তের অংশ হিসাবেই স্টর্মি ড্যানিয়ালসকেও অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কৌসুঁলিরা।এই প্রথম কোনও ফৌজদারি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল।

মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ড্যানিয়েলসকে।তাছাড়া, এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে জালিয়াতি নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।এ সব অভিযোগেই ট্রাম্প দোষ অস্বীকার করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্প এ মামলাকে ‘রাজনৈতিক’ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আসছেন।অভিযোগগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ১ বছর চার মাস থেকে ৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য