স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মার্চ। পোল্যান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেইনে কোনো যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে হলে তা অবশ্যই নেটোর মাধ্যমে হতে হবে।ওয়ারশ চেয়েছিল, তাদের সব মিগ-২৯ জার্মানিতে অবস্থিত একটি মার্কিন বিমানঘাঁটির মাধ্যমে কিইভে পাঠাতে।ওয়াশিংটন এ প্রস্তাব খারিজ করে দিলে বুধবার পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা ইউক্রেইনকে সামরিক সহায়তায় নেটোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেইন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিল; মার্কিন আইনপ্রণেতারাও এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল।তার মধ্যেই মঙ্গলবার পোল্যান্ড জানায়, তারা তাদের সব মিগ-২৯ জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে পাঠাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরে প্রস্তুত; অন্য নেটো দেশগুলোও যেন একই পদক্ষেপ নেয় সে আহ্বানও জানিয়েছিল তারা।ওয়াশিংটন পরে ওয়ারশর ওই প্রস্তাব ‘যুক্তিসিদ্ধ নয়’ বলে খারিজ করে দেয়।“যুক্তরাষ্ট্র চায় না, ওই বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি থেকে ইউক্রেইনে যাক। পোল্যান্ড ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত, কিন্তু সেটা হতে হবে জোটের কাঠামোর মধ্যে, নেটোর কাঠামোর মধ্যে,” সম্প্রচারমাধ্যম টিভিপি ইনফোকে এমনটাই বলেছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা।
যুদ্ধবিমান ছাড়াও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেইনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ কার্যকরে বারবার তাগাদা দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেটো মিত্ররা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ভয়ে এমন পদক্ষেপ নিতেও নারাজ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছিল, যে দেশগুলো ইউক্রেইনকে বিমানঘাঁটির মাধ্যমে রাশিয়ায় আক্রমণ চালানোর সুযোগ করে দেবে, তারাও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে মস্কো মনে করতে পারে।পোল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভেল জাব্লোনস্কি রেডিও স্টেশন পোলস্কি রেডিও ১-কে বলেছেন, ইউক্রেইনে যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করার সময় পোল্যান্ডকে তার নিরাপত্তার বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে।“নেটোর একমাত্র দেশ হিসেবে কেবল পোল্যান্ডই এই ঝুঁকি নেবে এবং অন্যরা ক্ষতিপূরণ বা অন্য কোনো উপায়ে ঝুঁকির ভাগ নেবে না, তা হতে পারে না,” বলেছেন তিনি।