স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি:রাশিয়ার বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলে নিয়েছে বলে ইউক্রেইনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোইলাক বলেন, “রুশদের পুরোপুরি অর্থহীন এক আক্রমণের পর চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ আছে এটা বলা অসম্ভব। এটা আজ ইউরোপের জন্য অন্যতম গুরুতর হুমকি।”
বৃহস্পতিবার মস্কোর স্থানীয় সময় ভোরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে দেশটির বাহিনীগুলো তিন দিক থেকে ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করে। স্থল, জল ও আকাশপথে শুরু হওয়া এ হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় কোনো দেশে চালানো সবচেয়ে বড় আক্রমণ।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেইনের সেনাদের আক্রমণ প্রতিরোধ করার চেষ্টার মধ্যেই চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিয়ে নেয় রুশ সেনারা।
রাশিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেইনের সীমান্ত অতিক্রমের আগেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কিছু অংশ চেরনোবিলের ‘নিষিদ্ধ এলাকায়’ জড়ো হয়েছিল। নেটোকে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ না করার ইঙ্গিত দিতে রাশিয়া চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউক্রেইন প্রজাতন্ত্রের চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে ঘটা বিপর্যয়ের পর ইউরোপের অধিকাংশ এলাকা তেজস্ক্রিয় উপাদানের মেঘে ঢাকা পড়েছিল। সেই বিপর্যয়ের কয়েক দশক পর চেরনোবিল একটি পর্যটন গন্তব্য হয়ে ওঠে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় এক সপ্তাহ আগে পর্যটকদের জন্য এলাকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।রুশ সেনারা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দখল নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক টুইটে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, “১৯৮৬-র শোচনীয় ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য আমাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছে। এটা পুরো ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।”