স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।শুক্রবার কিয়েভের স্থানীয় সময় ভোর ৬টার আগে থেকে সেখানে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, এমন খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেইনের এ রাজধানীর ওপর থেকে গুলি করে রাশিয়ার একটি বিমান ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।এর আগে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানীতে ‘নাশকতাকারীরা’ প্রবেশ করেছে।এখন ইউক্রেইনজুড়েই যুদ্ধ চললেও পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের আশপাশে সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এর পাশাপাশি উত্তরে এবং দক্ষিণাঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী বন্দর শহর ওডেসার আশপাশেও লড়াই চলছে।
উত্তরে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় একটি লড়াইয়ের পর রাশিয়ার বাহিনীর হাতে সেটির পতন ঘটেছে। সেখানে ইউক্রেইনীয় সেনাদের জিম্মি হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।যুদ্ধক্ষেত্রের নিকটবর্তী শহরগুলো থেকে হাজার হাজার ইউক্রেইনীয় পালিয়ে যাচ্ছে। সবারই গন্তব্য অপেক্ষাকৃত শান্ত পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোর দিকে। আবার এদের অনেকে নিরাপত্তার জন্য পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার সীমান্তে গিয়েও জড়ো হয়েছেন।
তবে অধিকাংশ ইউক্রেইনীয়ই নিজ নিজ এলাকায় রয়ে গেছেন বলে বিবিসি জানাচ্ছে। তারা বাঙ্কার ও ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলোতে আশ্রয় নিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। দেশকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নিতে সক্ষম এমন সব নাগরিককে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাশিয়ার ব্যাংক, কোম্পানি ও শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেইনকে সাহায্য ও দেশটির বাহিনীগুলোকে সামরিক সরবরাহ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে আক্রমণ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ‘আন্তরিক, সরাসরি, দ্রুত’ কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার যুদ্ধে জড়ানোর বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কয়েকশ প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।