Tuesday, January 14, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদইংল্যান্ডের শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওতে যা জানালেন ঋষি সুনাক

ইংল্যান্ডের শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওতে যা জানালেন ঋষি সুনাক

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারি: ইংল্যান্ডের সব স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন নিষিদ্ধ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি। এ–সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা গত সোমবার ব্রিটিশ সরকার জারি করেছে।সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, মুঠোফোনের ওপর বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্কুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে মুঠোফোন। এতে ব্যাহত হয় পড়াশোনা। সরকারি নির্দেশিকায় বিষয়টিতে নজরদারির জন্য প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলে ফোন না নিয়ে আসে, তা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। আবার কেউ ফোন আনলে তা যেন লকারে রাখা হয়, তা–ও বলা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে ক্লাস চলার সময় যেন কেউ ফোন ব্যবহার না করে কিংবা ফোনের রিংটোনে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়।

মুঠোফোন কীভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটায়, তা বোঝাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এক্সে পোস্ট করেছেন সুনাক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছেন, বারবার বেজে উঠছে মুঠোফোন। সুনাক বলেন, ‘প্রায় এক–তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, ফোনের জন্য কীভাবে তাদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে। অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই ফোনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত হয়েছে। এবার নতুন করে এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হলো। সব স্কুল যেন এ নির্দেশিকা মেনে চলে। শিক্ষার্থীদের যে যে শিক্ষা প্রয়োজন, তা যেন সবাই পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা।’

ভিডিওটির সঙ্গে ঋষি সুনাক লিখেছেন, ‘আমরা জানি, ক্লাসরুমে মুঠোফোন কতটা বিভ্রান্তিকর একটি ব্যাপার। আজ আমরা স্কুলগুলোকে এর অবসানে সাহায্য করছি।’সোমবার ব্রিটিশ সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, ছুটির সময়সহ স্কুলের দিনজুড়ে মুঠোফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য প্রধান শিক্ষকদের সমর্থন করে।যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কেগান বলেন, স্কুল হলো শিশুদের শেখার জায়গা এবং মুঠোফোন হলো শ্রেণিকক্ষে একটি অবাঞ্ছিত বিভ্রান্তির বিষয়।যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থা ‘প্যারেন্ট কাইন্ড ন্যাশনাল প্যারেন্ট’–এর এক জরিপে প্রকাশ করা হয়েছে, সন্তানেরা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে কত সময় ব্যয় করে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রায় ৪৪ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থীর অভিভাবক। আর মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ অভিভাবক উদ্বিগ্ন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য