স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর করা নাম-পরিচয়হীন বেশ কিছু ফিলিস্তিনির লাশ গতকাল মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় দাফন করা হয়েছে। লাশগুলো এত দিন ইসরায়েলে ছিল।মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে পাশাপাশি অনেকগুলো কবরে প্রায় ১০০টি লাশ সমাহিত করা হয়। প্রথমে লাশগুলো কবরে শুইয়ে দেওয়া হয়, এরপর বুলডোজার থেকে বালু ফেলে কবরগুলো ভরে দেওয়া হয়। এ দৃশ্য দেখতে অনেক ফিলিস্তিনি মুখে মাস্ক পরে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধে নিহত মানুষের পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী কবর খুঁড়ে তোলা কিছু লাশও হস্তান্তর করেছে। তবে লাশ হস্তান্তর এবং কবর থেকে তোলা লাশ পাঠানোর ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া মানুষদের অনেকে ওই লাশের মধ্যে নিজেদের স্বজনদের খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদেরই একজন ইসসা আবু সারহান। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে খুঁজছি। ও এখানে থাকতেও পারে, না–ও থাকতে পারে। আমি আমার ছেলেকে খান ইউনিসের আল-নিমসায়ি সমাধিস্থলে কবর দিয়েছিলাম। তবে আমি শুনেছি, ইহুদিরা সেখান থেকে লাশ তুলে নিয়ে গেছে। এ জন্য এখানে লাশ আনার খবর শুনে আমি আমার ছেলেকে খুঁজতে এসেছি।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আবু তাহা নামের এক চিকিৎসক বলেন, ‘অজ্ঞাত এসব লাশ ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী কবর দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি না তারা কোথায় আঘাত পেয়েছে। এমনকি তাদের নামও জানি না। কবর দেওয়ার আগে লাশগুলোর ছবি তোলা হয়েছে এবং তাদের শরীরে থাকা আঘাতগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে।’আবু তাহা রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘খোদা চাইলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ডিএনএ এবং অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা হবে। তবে এ মুহূর্তে লাশের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে যে পরীক্ষাগুলো করানো প্রয়োজন, তা করা খুব কঠিন।’গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের কাছে ১০০টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটির সম্পূর্ণ দেহ, কোনোটির অর্ধেকাংশ, আবার কোনোটির কিছু অংশ ছিল।ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল ভোরে ইসরায়েল–নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালম ক্রসিংয়ে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো রাফাহতে নেওয়া হয়। লাশগুলো নীল রঙের প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল।