স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ফেব্রুয়ারি। ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেইন সংকটের নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, যুদ্ধ বাধলে তা হবে পাগলামি।
বুধবার দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার নিয়মিত এ অনুষ্ঠানে পোপ ইউক্রেইনে শান্তির জন্য তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক প্রার্থনা দিবসে অংশ নিয়েছে তাদের ধন্যবাদও দিয়েছেন।“আসুন ঈশ্বরের কাছে আমরা শান্তি প্রার্থনা অব্যাহত রাখি, যেন এই উত্তেজনা ও যুদ্ধের হুমকি টানা আলোচনার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা যায় এবং নরম্যান্ডি কাঠামোর আলোচনা যেন এই উদ্দেশ্য হাসিলে ভূমিকা রাখতে পারে,” বলেছেন পোপ।
তিনি যে নরম্যান্ডি কাঠামোর আলোচনার উল্লেখ করেছেন তাতে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে দরকষাকষিতে জার্মানি ও ফ্রান্স মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।“ভুলে গেলে চলবে না, যুদ্ধ পাগলামি,” বলেন পোপ।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেইন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করার পর কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর নতুন আগ্রাসন নিয়ে তাদের উৎকণ্ঠার কথা ধারাবাহিকভাবে জানিয়ে আসছেন।রাশিয়া প্রথম থেকেই বলে আসছে, ইউক্রেইনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (নেটো) কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে।
এসব দাবির মধ্যে আছে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র না মোতায়েন করার প্রতিশ্রুতি, পূর্ব ইউরোপ থেকে নেটোর পিছু হটা এবং ইউক্রেইনকে কখনোই নেটোতে নেওয়া হবে না, তার আশ্বাস।দাবি পূরণ না হলে সামরিক পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা। যদিও পদক্ষেপগুলো কী ধরনের হতে পারে, তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ইউক্রেইনের কাছে মস্কোর সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করেছে; বুধবার আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ বসফোরাস প্রণালী অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের কর্মকর্তারা।তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে নয়, পূর্বনির্ধারিত মহড়ার অংশ হিসেবেই এসব জাহাজ সেখানে গেছে বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।