Saturday, July 27, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদঅস্ট্রেলিয়ায় নাৎসি স্যালুট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতীক প্রদর্শন নিষিদ্ধ

অস্ট্রেলিয়ায় নাৎসি স্যালুট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতীক প্রদর্শন নিষিদ্ধ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,‌  ৮ জানুয়ারি: অস্ট্রেলিয়া আইন করে নাৎসি স্যালুট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত প্রতীকের প্রদর্শন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইহুদিবিরোধী ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।সোমবার থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আইনটি কার্যকর শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে নাৎসি স্যালুট অথবা নাৎসি স্বস্তিকা বা আধাসামরিক গোষ্ঠী এসএসের ডবল-সিগ রুন প্রদর্শনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের আইন করা হয়েছে। এই প্রতীকগুলো বিক্রি ও এগুলো নিয়ে বাণিজ্যিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, জানিয়েছে রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রাইফাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা হোলোকাস্ট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে মহামান্বিত করবে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো স্থান নেই, এ আইন তার পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে।  “এটি (অস্ট্রেলিয়ায়) এ ধরনের প্রথম আইন আর এটি নিশ্চিত করবে অস্ট্রেলিয়ায় কাউকেই নাৎসি ও তাদের অশুভ মতাদর্শকে উদযাপন করে এমন কাজ বা প্রতীক থেকে লাভবান হওয়ার বা সেগুলোকে মহিমান্বিত করার অনুমোদন দেওয়া হবে না,” বলেছেন তিনি।   

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিরোধী ও ইসলামবিদ্বেষী ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জুনে আইনটি প্রস্তাব করা হয়, ডিসেম্বরে এটি পাস হয় ও ৮ জানুয়ারি, সোমবার থেকে কার্যকর শুরু হল। অক্টোবরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি প্রতিবাদ চলাকালে সিডনির অপেরা হাউজের সামনে ছোট একটি দল ‘ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে দাও’ এমন শ্লোগান দিচ্ছে, এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ তৈরি হয় এবং পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। আরেক ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি জাদুঘরের সামনে নাৎসি স্যালুট দেওয়ার পর পুলিশ তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের অক্টোবর, নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। নতুন আইনে ইসলামিক স্টেট (আইএস), হামাস ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতীক প্রদর্শন বা বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  তবে এসব প্রতীকের একাডেমিক, শিক্ষাগত বা শৈল্পিক ব্যবহারের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য