স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১ ডিসেম্বর: হন্ডুরাসের নারী বন্দিদের কারাগারে দাঙ্গায় যে ৪৬ জন কয়েদি নিহত হয়েছিল তাদের কারও কারও দেহে পুলিশ বুলেট পাওয়া গেছে। এতে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে পুলিশের সম্ভাব্য যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বলে দেশটির এক ঊধ্র্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।হন্ডুরাসের ডেপুটি নিরাপত্তামন্ত্রী জুলিসা ভিয়ানুয়েভা জানিয়েছেন, রাজধানী তেগুসিগালপার প্রান্তে জুনে ওই কারাগারে দাঙ্গা চলার সময় এমএস-১৩ অপরাধী দলের সদস্যদের গুলি করে ও পুড়িয়ে মারা হয়, তাদের কয়েজনের মৃতদেহে পুলিশের মালিকানাধীন ১৫টি বুলেট পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দী অপরাধী দল বারিও ১৮-র সদস্যরা এসব গুলি ছুড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিয়ানুয়েভা এসব কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার তার ফেইসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়।সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বলছে, যে বুলেটগুলো পাওয়া গেছে সেগুলোর ৯৬ শতাংশ পুলিশের।”তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে ওই দাঙ্গায় পুলিশের যোগসাজশ আছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, যোগ করেন তিনি।রয়টার্স জানিয়েছে, ওই কারা দাঙ্গা হন্ডুরাসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মন্ত্রীর এই অভিযোগের বিষয়ে দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কতগুলো লাশের শরীরে বুলেট ছিল, কতগুলো বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বা এগুলোও পুলিশের কিনা, না অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে ভিয়ানুয়েভা তা জানাননি। তিনি বলেছেন, “এর মনে কী? অবশ্যই কোথাও একটা ষড়যন্ত্র ছিল। কাদের সঙ্গে? ঘটনার সময় সেখানে যারা ছিল, পুলিশের চৌকিগুলোতে যারা পাহারায় ছিল। তারা এক পক্ষকে অস্ত্র দিয়েছে কিন্তু অন্যদের দেয়নি।”তবে বুধবার দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, কারাগারের ভেতর থেকে যে ১৯টি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মাত্র একটি আগে পুলিশের সম্পত্তি ছিল।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই কারাগারের আগের প্রশাসন ‘পুলিশের’ জন্য যেসব অস্ত্র, গুলিগোলা ও এমনকি গাড়ির আদেশ দিয়েছিল সেগুলো কখনোই সরকারি সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।