Sunday, September 8, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদ‘যুদ্ধ বিরতি নিয়ে’ আলোচনা করতে কাতারে সি আই এ ও মোসাদের প্রধানরা

‘যুদ্ধ বিরতি নিয়ে’ আলোচনা করতে কাতারে সি আই এ ও মোসাদের প্রধানরা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানরা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আরও বাড়ানো ও গাজায় বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে মিলিত হয়েছেন।  সিআইয়ের পরিচালিক উইলিয়াম বার্নস এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া মঙ্গলবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জসিম আল থানি কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন।গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ছে, সোমবার কাতার এ ঘোষণা দেওয়ার পরদিন বৈঠকটি হয়; জানিয়েছে আল জাজিরা।এই বৈঠকের বিষয়ে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, “মানবিক বিরতির চুক্তি বাড়ানো এবং সম্ভাব্য চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আরও আলোচনা শুরু করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বৈঠকটি হয়েছিল।”বৈঠকে মিশরীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বিস্তারিত না জানিয়ে শুধু বলেছেন বলেছেন, “ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও জিম্মি নিয়ে আলোচনা করতে বার্নস দোহা গিয়েছেন।”

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা কাতারে বসবাস করেন। উপসাগরীয় আরব দেশটি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে।মঙ্গলবারের বৈঠকে চার দেশের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন ধাপের সম্ভাব্য শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে আছে হামাস জিম্মি নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়ার পাশপাশি তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি পুরুষ ও সামরিক সদস্যদেরও মুক্তি দেবে। এছাড়া হাতে গোনা কয়েকদিনের চেয়ে আরও বেশি দিন স্থায়ী যুদ্ধবিরতির করতে কী করতে হবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।বৈঠকের আগে কাতার হামাসের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আগ্রহের বিষয়ে ধারণা নিয়ে নেয়। ওই বৈঠকে সম্ভাব্য যে উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এখন হামাস ও ইসরায়েলে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন আক্রমণ চালায় হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তাদের আক্রমণে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। এ সময় হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রাখে।এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা প্রত্যয় জানিয়ে গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের সাত সপ্তাহ ধরে চলা টানা আক্রমণে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় যাদের ৪০ শতাংশ শিশু। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় সাত সপ্তাহ পর মাত্র চার দিনের এক ‍‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল। হামাসও তাতে সম্মতি জানায়। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতি ২৭ নভেম্বর, সোমবার শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কাতারের উদ্যোগে তা আরও দু’দিন বাড়ানো হয়। ২৯ নভেম্বর, বুধবার বর্ধিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য