Wednesday, March 26, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদওমিক্রন: যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সংকট

ওমিক্রন: যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সংকট

 

 

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি :  কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ চাহিদা, ‍ক্রমাগত বাড়তে থাকা পরিবহন খরচ এবং মহামারীর কারণে দেখা দেয়া শ্রমিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সুপারশপগুলোর পণ্য সরবরাহে টান পড়েছে।

বড় বড় সুপারমার্কেটে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং তাজা খাবার রাখার তাকগুলো খালি পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে লেটুস ও বেরির মত পচনশীল খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে তাদের পণ্য সরবরাহের জন্য বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।‘ওইহি প্রডিউস’ এর প্রধাননির্বাহী শাই মায়েরস বলেন, পরিবহন খরচ না কমা পর্যন্ত তারা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ খুচরা বাজারে  পাঠাবে না। ওইহি প্রডিউস আইডাহো সীমান্তে পেঁয়াজ, তরমুজ এবং অ্যাসপারাগাস চাষ করে।

মেয়ার বলেন, ট্রাক চালকের সংকট এবং সম্প্রতি ঝড়ে কয়েকটি মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পরিবহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। যে কারণে ফল এবং সবজি পরিবহন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারী কারেণ পণ্য পরিবহন খরচ আগেই অনেক বেড়ে গিয়েছিল।তিনি বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ ইস্ট কোস্ট থেকে ওয়েস্ট কোস্টে জাহাজে পণ্য পাঠাই। আগে এজন্য সাত হাজার মার্কিন ডলার খরচ হতো। এখন সেই খরচ বেড়ে ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার মার্কিন ডলার হয়ে গেছে।”

করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহ সুপারমার্কেটে খাদ্য সংকট আরো বেড়ে যাবে বলে ধারণা প্রকাশ করেন আমেরিকার গ্রোসারি কোম্পানি ‘অ্যালবার্টসন্স’ এর প্রধাননির্বাহী বিবেক শঙ্কারান।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ালমার্টের মত বড় সুপারশপের পাস্তা ও মাংসের তাক খালি পড়ে থাকার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।ইন্ডিয়ানাপোলিসের সুপারশপ মায়ার স্টোটে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্লোরিডার পাম বিচের পাবলিক্সে বাথ টিস্যু এবং ঘর পরিষ্কার করার পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ওয়াশিংটনে কয়েকটি স্টোর ক্রেতাদের টয়লেট পেপার কেনার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।আরো অন্তত কয়েক সপ্তাহ এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কনজিউমার ব্রান্ডস অ্যাসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কেট ডেনিস। তিনি এজন্য শ্রমিক সংকটকে দায়ী করেছেন।তিনি বলেন, প্যাকেটজাত পণ্যের শিল্পে বর্তমানে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শ্রমিকের সংকট রয়েছে। অন্যদিকে ন্যাশনাল গ্রোসারস অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়, অনেক গ্রোসারি স্টোর অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য