স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৯ এপ্রিল: নিষেধাজ্ঞা কার্যকর অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি সাগরে একটি ট্যাংকার থেকে ইরানি তেল জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে তিনটি সূত্র।এর পাল্টায় দিন কয়েক পর তেহরানও অন্য একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে বলে সামুদ্রিক এক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।তেলের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে কার্গো জব্দের এই ঘটনা ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সাম্প্রতিক নজির। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরেই নানান নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিতে চাপে রেখেছে।ইরান ওই নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার করছে, উল্টো দিন দিন তাদের তেল রপ্তানি বেড়েছে।
তেহরান শুরু থেকেই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। তবে ওয়াশিংটনের সন্দেহ, ইরান আসলে পারমাণবিক বোমা বানাতে চায়, যা ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের স্বার্থের জন্য হুমকি।সামুদ্রিক নিরাপত্তা কোম্পানি আমব্রে বলছে, বৃহস্পতিবার ইরান ট্যাংকার জব্দের অন্তত ৫ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ওই ইরানি তেল জব্দ করেছে।“যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকাণ্ডের পাল্টায় ইরানি নৌবাহিনী ট্যাংকারটি আটক করেছে বলে বিবেচনা করছে আমব্রে।“দুটি ট্যাংকারই সুয়েজ খাল পার হওয়ার মতো বড়। ইরানি তেলের কার্গো জব্দের পাল্টায় তেহরান এর আগেও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল,” গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক পরামর্শ বার্তায় এমনটাই বলেছে আমব্রে। বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত একাধিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ওয়াশিংটন মার্শাল আইল্যান্ডের ট্যাংকার সুয়েজ রাজনে থাকা তেলের কার্গোর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় সূত্রগুলো নিজেদের পরিচয় প্রকাশে রাজি হয়নি।জাহাজের গতিবিধির ওপর নজর রাখা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্যে ২২ এপ্রিল সুয়েজ রাজনের সর্বশেষ অবস্থান দেখা গেছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কাছে।নৌযানটির গ্রিসভিত্তিক ব্যবস্থাপক এম্পায়ার নেভিগেশন এবং মার্কিন আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাড়া পায়নি রয়টার্স।এদিকে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরান ওমান উপসাগরে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে।
শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইরানি একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষের পর ট্যাংকারটি আট ঘণ্টা ধরে তেহরানের পাঠানোর রেডিও বার্তাকে উপেক্ষা করেছিল।“ওই সংঘর্ষে নৌকাটির তিন ক্রু আহত হয়েছে, তিনজন নিখোঁজ। বল প্রয়োগের আগে আমরা ট্যাংকারটিকে থামতে ক্রমাগত বার্তা পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা সহযোগিতা করেনি,” রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন ইরানের সহকারী নৌ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোস্তফা তাজোদিনি।ওমান উপসাগরে ট্যাংকার জব্দের বিষয়টি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবগত এবং তিনি আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, জাতিসংঘের এক মুখপাত্র শুক্রবার এমনটাই বলেছেন।