স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৯ এপ্রিল: ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের পরীক্ষা বোর্ড একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় প্রদেশটির ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।অন্ধ্রের বোর্ড বুধবার ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছিল; এবার প্রায় লাখ দশেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। পাস করেছে একাদশে ৬১ শতাংশ, দ্বাদশে ৭২ শতাংশ।এনডিটিভি জানিয়েছে, ফল প্রকাশের পর শুক্রবার পর্যন্ত ৯ পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার পাশাপাশি আরও দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, শ্রীকাকুলাম জেলায় ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বি তরুণ ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। জেলার দান্দু গোপালাপুরাম গ্রামে বেড়ে ওঠা এই শিক্ষার্থী বেশিরভাগ বিষয়ে ফেল করে মুষড়ে পড়েছিল বলে জানা গেছে।মালকাপুরাম থানার আওতাধীন ত্রিনাধাপুরামে নিজের বাড়িতেই ১৬ বছর বয়সী কিশোরী এ অখিলাশ্রী আত্মহত্যা করেছে। ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ফেল করে সে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ফেল করে বিশাখাপত্তমের কাঞ্চারাপালেম এলাকায় নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে জীবনের ইতি টেনেছে ১৮ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থী।
একই পরীক্ষায় ফেল করে চিতোরের ১৭ বছর বয়সী দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যারও খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন হ্রদে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে, অন্যজন খেয়েছে কীটনাশক।ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়ে হতাশা থেকে আনাকাপালিতে নিজের বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে ১৭ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থীও।ভারতের শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোতে একের পর এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অন্ধ্রে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা দেশটির শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।চলতি বছর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) আলাদা আলাদা ক্যাম্পাসে ৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যুকেও আত্মহত্যা বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।এসব ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভুল পথে চলায়, শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যায় বাধ্য হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।