স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৫ এপ্রিল: কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের বাগদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক ও প্রাক্তন পুলিশ চ্যাপ্লেন অ্যান লেসলি স্মিথ; তবে অকস্মাৎ তা ভেঙে যাওয়ার খবর এসেছে।মারডকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে ভ্যানিটি ফেয়ার জানিয়েছে, স্মিথকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তিনি, আর সেটা স্মিথের ‘স্পষ্টভাষী প্রটেস্ট্যান্ট দৃষ্টিভঙ্গির’ কারণে।বিবিসি জানিয়েছে, ৯২ বছর বয়সী মারডক ও তার চতুর্থ স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয় গত বছর। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৬৬ বছরের স্মিথের সঙ্গে মারডকের সাক্ষাৎ হয়। এর কয়েকমাস পর গত মাসে তারা বাগদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন।মার্চে নিজের প্রতিষ্ঠান নিউ ইয়র্ক পোস্টকে এই ব্যবসায়ী বলেছিলেন, “প্রেমে পড়তে আমার ভয়ই হচ্ছিল। তবে আমি জানি, এটাই আমার শেষ প্রেম। সেটা হলেই ভালো, আমি খুব খুশি।”অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের এই ধনকুবের সে সময় বলেন, গত ১৭ মার্চে সেন্ট প্যাট্রিকস ডে-তে স্মিথকে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং খানিকটা বিচলিতও ছিলেন।স্মিথের প্রয়াত স্বামী চেস্টার স্মিথ একজন গায়ক ছিলেন। রেডিও এবং টিভিতে নির্বাহী হিসেবেও কাজ করতেন।
মারডকের সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা দেওয়ার পর নিউ ইয়র্ক পোস্টকে স্মিথ বলেছিলেন, “আমাদের দুজনের জন্যই এটা ঈশ্বরের উপহার। গত সেপ্টেম্বরে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল।“১৪ বছর ধরে আমি বিধবা। রুপার্টের মত আমার স্বামীও ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তাই রুপার্টের মনের ভাষা আমি সহজেই পড়তে পারি। আমাদের বিশ্বাসও একই।”এর আগে প্রথম তিন স্ত্রীর সংসারের ছয়জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে মারডকের। স্মিথের সঙ্গে পরিচয়ের পর তিনি বলেছিলেন, জীবনের ‘বাকি অর্ধেক’ একসঙ্গে কাটাতে তারা দুজনেই উন্মুখ।বিবিসি জানিয়েছে, গ্রীষ্মের শেষের দিকে তাদের বিয়ে হওয়ার প্রত্যাশা ছিল। এরপর ক্যালিফোর্নিয়া, মন্টানা, নিউ ইয়র্ক ও যুক্তরাজ্যে জীবনের বাকি সময় কাটানোর ভাবনা ছিল তাদের।মারডক এর আগে অস্ট্রেলিয়ান বিমানবালা প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা ম্যান এবং চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেছিলেন।