স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর: ফিলিপিন্সে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুন রাই-য়ে মৃত্যু বেড়ে ১২তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়ার আগে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে অগ্রসর হওয়া রাইয়ের প্রভাবে অন্তত ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত, অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র পায়নি।দেশটির প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতার্তে শক্তিশালী এ ঝড়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।শনিবার তার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।“স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমি খুব একটা উদ্বিগ্ন নই; আমার ভয় অনেক মানুষ মারা যেতে পারে,” বলেছেন তিনি।ফিলিপিন্সের দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থার আন্ডারসেক্রেটারি রিকার্ডো জালাদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।“প্রাদেশিক ইউনিটগুলোর কাছ থেকে আসা তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি, তারপরই ক্ষয়ক্ষতির একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা যাবে,” বলেছেন তিনি।শক্তি সঞ্চয় করে ৫ মাত্রার টাইফুনে পরিণত হওয়া রাই ফিলিপিন্সে আঘাত হানার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমাগত দুর্বল হতে শুরু করে, শনিবারই এটি ফিলিপিন্স অতিক্রম করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
“আগে একই শক্তির টাইফুনগুলোতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবার তেমনটা হয়নি বলেই মনে হচ্ছে,” বলেছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কাসিয়ানো মোনিলা।মধ্যাঞ্চলীয় বোহোল প্রদেশের গভর্নর আর্থার ইয়াপ বন্যার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।“অসংখ্য পরিবার বাড়ির ছাদে আটকা পড়েছে,” স্থানীয় একটি রেডিওকে বলেছেন তিনি।চলতি বছর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা ১৫তম টাইফুন রাইয়ের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি বন্দর অচল হয়ে পড়ে, বাতিল হয় শতাধিক ফ্লাইট। কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন অঞ্চলে গণটিকাদান কর্মসূচিও স্থগিত রাখতে হয়।ফিলিপিন্সে প্রায়ই শক্তিশালী ঝড় হয়। বছরে গড়ে ২০ টি ঝড় দেশটিতে আঘাত হানে।গতবছর নভেম্বরেও আরেক সুপার টাইফুন গনিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানি দেখেছিল ফিলিপিন্স।২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানে দেশটিতে নিহত হয়েছিল ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।