স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১৪ ডিসেম্বর: বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেতা সের্গেই তিখানোভস্কিকে কারাগারে পাঠিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সরকার।বিবিসি জানায়, বেলারুশের বিতর্কিত নেতা লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় তাকে ১৮ বছরের জেল দিয়েছে আদালত।
তিখানোভস্কির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে দাঙ্গা সংগঠিত করার অভিযোগে তাকে রুদ্ধদ্বার বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে এ সাজা দেওয়া হল।
২০২০ সালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিখানোভস্কি। কিন্তু ভোটগ্রহণের দিন আসার আগেই তাকে আটক করা হয়।
তিখানভস্কির অবর্তমানে তার স্ত্রী সেভেৎলানা তিখানোভস্কি গত বছর অগাস্টের নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে লড়াই করেন।বিতর্কিত ওই নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করেন তিনি। কিন্তু তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। পরে নিরাপত্তার শঙ্কায় সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়েন সেভেৎলানা।
মঙ্গলবার বেলারুশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গোমেল শহরের এক আদালতের দেওয়া রায়ে স্বামী তিখানোভস্কির কারাদণ্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সেভেৎলাসা।
তিনি আদালতের রায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তিখানোভস্কিকে দেওয়া সাজা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ারই সামিল বলে বর্ণনা করেছেন।আদালতের রায় ঘোষণার আগে টুইটারে এক ভিডিও পোস্টে সেভেৎলানা বলেন, “আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে সমর্থন দিয়ে যাব।”রাষ্ট্রীয় পত্রিকা সোভেৎস্কায়া বেলারুশ বলেছে, তিখানোভস্কির পাশাপাশি বিরোধীদলীয় আরও ৫ জন নেতার বিচার করা হয়েছে। তাদেরকে ১৪ থেকে ১৬ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।৬৬ বছর বয়সী লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশ শাসন করছেন।গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকেই লুকাশেঙ্কো বিরোধীদের ওপর নজিরবিহীন দমনপীড়ন চালাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সর্বশেষ তিখানোভস্কিসহ অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতাদের জেল দেওয়া হল, যারা নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।