স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৬ জুলাই : রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করতে এবং প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে নিয়োগ করা হয়েছে আশা কর্মীদের। কিন্তু একাংশ আশা কর্মীর গাফিলতির কারনে বারে বারে কালিমালিপ্ত হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া মহকুমার উত্তর গোকুলনগর এডিসি ভিলেজের বিলাই হাম এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এলাকার এক শিশু বেশ কয়েকদিন ধরে নিজ বাড়িতে জ্বরে ভুগছিল। পরিবারের লোকজন আর্থিক সঙ্কটের কারনে জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় নি।
তারা বারে বারে এলাকার আশা কর্মীর নিকট ফোন করে। কিন্তু আশা কর্মী একবারের জন্যও ঐ শিশুর বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে দেখে আসে নি। এইদিকে দিনের পর দিন শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে শিশুটির শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তারপর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এইদিন দুপুরের পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন শিশুটিকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন।
এ্যাম্বুলেন্সে শিশুটিকে নিয়ে রওয়ানা হওয়ার পর এ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে শিশুটি। পরবর্তী সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক মাঝ রাস্তা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে পুনঃরায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এইদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙ্গে পরে শিশুটির পরিবারের লোকজন। এলাকায় যদি স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মীরা নিয়মিত যেতেন তাহলে অকালে এই শিশুটির প্রাণ ঝড়ে যেত না বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।