Monday, February 10, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদঅধিকাংশ ইউরোপীয় ৯-৫টার কাজে অফিসে ফিরতে চান না: জরিপ

অধিকাংশ ইউরোপীয় ৯-৫টার কাজে অফিসে ফিরতে চান না: জরিপ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর। ইউরোপের মাত্র ১৪ শতাংশ কর্মী ৯-৫টার কাজে অফিসে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আর তাদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন, বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে তারা আরও বেশি কার্যক্ষম হয়ে উঠেছেন।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে এমনটি উঠে এসেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে দেওয়া লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বব্যাপী বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।এই ‘হাইব্রিড ওয়ার্কিং’ এর খারাপ দিকও আছে। স্যামসং ইলেকট্রনিক্স ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফিউচার ল্যাবরেটরি পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক চতুর্থাংশেরও বেশি জানিয়েছেন, তারা সারাক্ষণ কাজ করেন এমন অনুভূতি হয় তাদের।

৮৩ শতাংশ কর্মী তাদের কাজ ও বাড়ির জীবনের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সাহায্যের জন্য নিয়োগকর্তাদের আরও সমর্থন চাইছেন, ইউরোপজুড়ে ১৪ হাজার লোকের মধ্যে করা এ জরিপে এমনও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।  ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে কর্মরত মানুষের প্রায় ১২ শতাংশ প্রায়ই বাড়ি থেকে কাজ করেছে, মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে এটি প্রায় ৫ শতাংশ বেশি।

স্যামসাং ইউরোপের ভাইস প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন বাউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কাজের জায়গায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় থাকার অভ্যাস এখন একটি সেকেলে ধারণা, কীভাবে আধুনিক হাইব্রিড জীবনযাপনের চাহিদা মেটাবেন তা নিয়ে নিয়োগকর্তাদের ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে।”দুই তৃতীয়াংশ ইউরোপীয় জানিয়েছেন, হাইব্রিড জীবনযাপন সহজ করতে তারা বাড়িতে অফিস স্পেস তৈরি করেছেন অথবা করার পরিকল্পনা করছেন।বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেমরি চিপ ও স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের করা এই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫১ শতাংশ জানিয়েছেন, মোবাইল অ্যালার্ম বা টাইম ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের মতো বিভিন্নভাবে প্রযুক্তির সাহায্য পাচ্ছেন তারা।

“সম্ভবত আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রযুক্তি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্য ও সুখকে নিরীক্ষণ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে আর স্মার্ট ডিভাইসগুলো আমাদের সুস্থতার সহায়ক হয়ে উঠছে,” বলেছেন ডেনমার্কের হ্যাপিনেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মেইক ভিকিং।এই প্রতিষ্ঠানটি স্যামসংয়ের সঙ্গে মিলে ‘কাজের ভবিষ্যৎ’ নিয়ে গবেষণা করছে। 

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য