Friday, March 29, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদকুয়ালালামপুরের কাছে ভূমিধসে নিহত ১২, নিখোঁজ ২২

কুয়ালালামপুরের কাছে ভূমিধসে নিহত ১২, নিখোঁজ ২২

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর: মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে ভূমিধসের এক ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধস আঘাত হানে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আবর্জনা, উপড়ে পড়া গাছ ও কাদা সরিয়ে জীবিতদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।দেশটির দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেলাঙ্গর রাজ্যের এক সড়কের পাশে ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থা থাকা একটি অর্গানিক খামারে ঘটনাটি ঘটেছে।৯০ জনেরও বেশি মানুষ ভূমিধসের কবলে পড়ে, তাদের মধ্যে ৫৯ জনকে অক্ষত পাওয়া যায়। ২২ জন এখনও নিখোঁজ। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার দেওয়া বার্তায় জানা গেছে।বাতাং কালি জেলার পুলিশ প্রধান সুফিয়ান আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই মালয়েশীয় এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৫ বছর বয়সী একটি শিশু আছে।

ক্যাম্পসাইটটির আনুমানিক ৩০ মিটার উঁচু একটি পাহাড়ি ঢাল থেকে ভূমিধস হয়ে প্রায় এক একরের মতো এলাকাকে মাটিচাপা দিয়েছে, জানিয়েছেন দমকল বিভাগের পরিচালক নোরাজাম খামিস।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী কুয়ালালামপুরের ৫০ কিলোমিটার উত্তরে বাতাং কালি জেলার মনোরম পার্বত্য অঞ্চল গেন্টিং হাইল্যান্ডসের পাশেই দুর্যোগটি ঘটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি গেন্টিং হাইল্যান্ডস একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।   প্রত্যক্ষদর্শী তেহ লিন জুয়ান (২২) জানান, ভূমিধস যখন হয় তখন তিনি আরও ৪০ জনের সঙ্গে ক্যাম্পটিতে ছিলেন। তিনি জানান, তার এক ভাই মারা গেছে এবং আরেকজন হাসপাতালে আছে।

“বজ্রপাতের মতো তীব্র শব্দ শুনলাম, কিন্তু এরপরই পাথর পড়া শুরু হয়। অনুভব করলাম, তাঁবু আলগা হয়ে যাচ্ছে আর আমাদের চারপাশে মাটি এসে পড়ছে। সৌভাগ্যক্রমে আমি তাঁবু থেকে বের হয়ে নিরাপদ একটি স্থানে চলে যেতে পেরেছিলাম। আমি ও আমার মা হামাগুড়ি দিয়ে সরে এসে নিজেদের রক্ষা করেছি,” স্থানীয় একটি দৈনিককে বলেছেন তিনি।যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে গর্ভবতী একজন নারী আছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জালিহা মুস্তাফা।মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য সেলাঙ্গরে এর আগেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বন উজাড় ও পাহাড় কাটার কারণেই এসব ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।অঞ্চলটিতে এখন বর্ষাকাল চললেও ওই রাতে ভারি বৃষ্টি বা ভূমিকম্পের মতো কোনো কিছু হয়নি।  এক বছর আগে প্রবল বৃষ্টিতে দেশটির সাতটি রাজ্যজুড়ে দেখা দেওয়া বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য