Saturday, April 20, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদমেটাভার্স একটা দুর্বল ভিডিও গেইম: ফিল স্পেন্সার

মেটাভার্স একটা দুর্বল ভিডিও গেইম: ফিল স্পেন্সার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৮ অক্টোবর: অ্যাপল-স্ন্যাপের পর এবার মাইক্রোসফটের গেইমিং প্রধান ফিল স্পেন্সারের কাছ থেকেও ছাড় পেল না ‘মেটাভার্স’; ভার্চুয়াল রিয়ালিটি জগৎটিকে ‘দুর্বলভাবে বানানো ভিডিও গেইম’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।গত এক বছর ধরেই মেটাভার্স ভাবনা নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে মেটা প্ল্যাটফর্মস। সামাজিক যোগাযোগকেন্দ্রীক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে এসে উদীয়মান ভার্চুয়াল রিয়ালিটি খাতে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা দেখছেন জাকারবার্গ।কিন্তু এখন পর্যন্ত মেটার তৈরি মেটাভার্স অ্যাপ ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’ নিয়ে সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া যেমন ইতিবাচক নয়; তেমনি অ্যাপটি ব্যবহারের আগ্রহ নেই কোম্পানির কর্মীদের মধ্যেই।এমন দৃশ্যপটেই জাকারবার্গের মেটাভার্সকে ‘দুর্বলভাবে বানানো ভিডিও গেইম’ বলে আখ্যা দিলেন মাইক্রোসফটের গেইমিং বিভাগের প্রধান নির্বাহী ফিল স্পেন্সার। এক্সবক্স প্ল্যাটফর্মের শুরু থেকেই এর সঙ্গেই জড়িত আছেন স্পেন্সার, এক্সবক্স প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৪ সাল থেকে।জাকারবার্গ মেটাভার্সকে ভার্চুয়াল অফিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে প্রচারণা চালালেও তার সঙ্গে একেবারেই একমত নন স্পেন্সার।বুধবার অনুষ্ঠিত ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) টেক লাইভ’ সম্মেলনে জাকারবার্গের মেটাভার্স ভাবনা প্রসঙ্গে স্পেন্সার বলেন, “ভিডিও গেইম নির্মাতাদের এমন একটা দুনিয়া নির্মাণের সক্ষমতা আছে যেখানে আমরা নিজে থেকেই সময় দিতে চাই। কিন্তু আমার মতে, মিটিং রুমের মতো দেখতে মেটাভার্স বানানো.. আমার কেবল মনে হচ্ছে, আমি সেখানে আমার বেশিরভাগ সময় দিতে চাইবো না।”

স্পেন্সার একাই মেটাভার্সের সমালোচনা করছেন, এমনটা নয়। প্রথম সারির একাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা কার্যত জাকারবার্গের মেটাভার্স ভাবনাকে আমলেই নিচ্ছেন না বলে উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে।‘ডব্লিউএসজে টেক লাইভ’ আয়োজনেই স্ন্যাপচ্যাটের মূল কোম্পানি স্ন্যাপের প্রধান নির্বাহী ইভান স্পিগেল মেটাভার্সকে সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘কম্পিউটার মধ্যে বেঁচে থাকা’ হিসেবে।সারা দিনের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পর একটা কম্পিউটারের মধ্যে বেঁচে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই বলেই জানিয়েছেন স্পিগেল।আর অ্যাপলের বৈশ্বিক বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রেগ জসউইকের ভাষ্যে, “এটা এমন একটা শব্দ যা আমি কখনোই ব্যবহার করবো না।”জসউইকের মতোই ‘মেটাভার্স’ শব্দটিতে আগ্রহী নন ডিজনির প্রধান নির্বাহী বব চ্যাপেক। মেটাভার্স বিষয়টি চ্যাপেকের কাছে “খুব বড় পরিসরে অর্থ বহন করে”। এবং তার জন্য এটা “পরবর্তী প্রজন্মের গল্প বলার কৌশল” বলে স্বীকার করলেও সবসময় বক্তব্যে ‘মেটাভার্স’ শব্দটি সযত্নে এড়িয়ে চলেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এর আগে।অন্যদিকে, মেটা নিজেও ব্যবহারকারীদের হরাইজন ওয়ার্ল্ডস প্ল্যাটফর্মে আকৃষ্ট করার মতো কিছু করতে পারছে না বলে মন্তব্য ভার্জের। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারে আগ্রহী নন কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরাই – সেটাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।সম্প্রতি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি দেখে ভার্জ জানিয়েছিল, কর্মীদের চাপ দিয়েও মেটাভার্স ব্যবহারে আগ্রহী করতে পারছেন না মেটা ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেটাভার্স প্রকল্প প্রধান ভিশাল শাহ।বছরের শুরুতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আগ্রহ থাকলেও সাত মাসের ব্যবধানে এক লাখ ব্যবহারকারী হারিয়েছে মেটার ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’।তবে, জাকারবার্গের মেটাভার্স মনে না ধরলেও সার্বিক মেটাভার্স ভাবনাতেই পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন স্পেন্সার।“বাজে ভিডিও গেইম বলে আসলে রসিকতা করছি আমি। আমি মনে করি আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।”অদূর ভবিষ্যতে মেটাভার্স ‘দেখতে অনেকটাই ভিডিও গেইমের মতো হবে’; মেটাভার্স নামে এখন যে মডেলগুলো নজরে আসছে তেমন নয় বলে মনে করেন স্পেন্সার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য