Thursday, April 18, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদবাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ অক্টোবর : বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে  জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার হয়েছে। ওই সেমিনারের শিরোনাম ছিল  বাংলাদেশ ভারত-সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’। সেমিনারটি জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক এবং ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। সেমিনারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।

সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনেও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আগরতলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি প্রণব সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সেক্রেটারী এবং টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক মহুয়া চ্যাটার্জী। ৭১ টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবু। প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহীড়ি।সেমিনারে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যেসব সমস্যা আছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পায়। এর একটি হলো পানি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া। ২য়, সীমান্তে মানুষ হত্যা। ৩য়, বানিজ্য বৈষম্য। এসব সমস্যা সমাধানে দুই দেশের গণমাধ্যম কিভাবে উভয় দেশের সরকারকে সহযোগীতা করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সেমিনারে কিছু নেতিবাচক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে ভারত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য মর্য্যদা দিয়ে সন্মানিত করেনা। তাদের কোন জাতীয় দিবসে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় না। বাংলাদেশ ভারতের সব চেয়ে বড় ক্রেতা। যে হিসেবে ভারত বানিজ্যিক সুবিধা নেয় সেই হিসেবে বাংলাদেশকে বানিজ্যক সুবিধা দেয়না। এসব প্রসঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিকরা তাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তারা বলেন এসব বিষয় নিয়ে অনেক ভুল বুঝাবুঝি আছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কেবলমাত্র জি টু জি নয়। এ সম্পর্ক পিপল টু পিপলও আছে। ভারতের বাংলা বেল্টের বাইরের কোন অবাঙালীকে যদি জিজ্জসা করা যায় তবে তারা বলবে প্রতিবেশিদের মধ্যে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে প্রীয়দেশ।

এসব সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলা বেল্টের বাইরের সাংবাদিকদের নিয়ে এধরণের সেমিনার আরো বেশি বেশি করে করতে হবে। তাহলে তারাও বাংলাদেশ সম্পর্ক জানতে পারবে। বলা হয়েছে ব্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে যে সমস্যা আছে তা থাকবেনা। চিনের সাথে ভারতের একটি সীমান্ত চুক্তি আছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সীমান্ত রেখা থেকে ২ কিলো মিটারের মধ্যে নো আর্মস জোন করা হয়েছে। এই কারনে সেখানে সীমান্ত হত্যা নেই। এটা বাংলাদেশের সাথেও করা যেতে পারে।

একজন ভারতীয় সাংবাদিক বলেছেন, সীমান্ত কিলিং হলেই দুই দেশের সাংবাদিকদের দিয়ে সেটার তদন্ত করাতে হবে। তাহলে এর সমাধান করা সম্ভব হবে। বানিজ্য বৈসম্যের বিষয় কমাতে হলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচার বাড়াতে হবে। যেমন ভারতের বাংলা বেল্টে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। এর বাইরের লোকেরা জানেই না যে  ঢাকায় শাড়ি কি জিনিষ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য