স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১৫ অক্টোবর: রিজার্ভ সেনাদের ডেকে পাঠানোর কার্যক্রম আর দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে জানিয়ে শিগগিরই সেনা সমাবেশের ইতি টানার আশ্বাস দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেইনজুড়ে তুমুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে; প্রতিবেশী দেশের শতাধিক লক্ষ্যে ছুটে গেছে একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ‘আপাতত এখন’ আর এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা নেই বলে শুক্রবার জানিয়েছেন পুতিন।তিন সপ্তাহ আগে রিজার্ভ সেনাদের সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। ইউক্রেইনে যুদ্ধক্ষেত্রের বেশকিছু এলাকা থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটার পরিস্থিতিতে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে ভাষ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। ইউক্রেইনের যে ৪ অঞ্চলের সিংহভাগ রাশিয়া ও তার ইউক্রেইনীয় মিত্রদের দখলে আছে তা ভূখণ্ডভুক্ত করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। প্রয়োজনে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা ও ভূখণ্ডের সুরক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।ইউক্রেইনে কথিত সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে জনসমর্থন পক্ষে থাকলেও রির্জাভ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের মধ্য থেকে প্রথম কিছু সমালোচনার মুখোমুখি হয় রুশ কর্তৃপক্ষ। জাতিগতভাবে রুশ এবং শহুরে বাসিন্দাদের তুলনায় তাদের বেশি ডাকা হচ্ছে বলে জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য এবং গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেন। দেশটির কর্মকর্তারাও কিছু ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করে নেন।কাজাখস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেনা সমাবেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেইনে যুদ্ধক্ষেত্র এত বড় যে কেবল চুক্তিভিত্তিক সেনাদের দিয়ে প্রতিরক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি জানান, প্রত্যাশিত তিন লাখ রিজার্ভ সেনার মধ্যে ইতোমধ্যে ২ লাখ ২২ হাজারকে সমবেত করা হয়েছে। “এই কর্মকাণ্ড শেষ হচ্ছে। আমার ধারণা, দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেনা সমাবেশ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম শেষ হবে,” বলেছেন তিনি।পুতিন সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ইউক্রেইনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর পিছু হটা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা বলেছেন, রিজার্ভ থেকে ডেকে পাঠানো কিছু রুশ সেনা এরই মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে হতাহত হয়েছে।রিজার্ভ সেনাদের উপস্থিতি যুদ্ধের মোড় মস্কোর দিকে ঘুরিয়ে দেবে বলেও মনে করছেন না তিনি।তার ধারণা, গত সপ্তাহে রাশিয়া যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তা অব্যাহত রাখার মতো পর্যাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে নেই।এদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো শুক্রবার থেকে দেশকে তার ভাষায় সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছেন; আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এ রাজনীতিকের ওপর ইউক্রেইন যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য যে ব্যাপক চাপ আছে, এই সতর্কবস্থাকে তারই ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে রয়টার্স।লুকাশেঙ্কো রুশ সেনাদেরকে বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেইনে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত তার সেনাদেরকে যুদ্ধ থেকে দূরে রেখেছেন।
রিজার্ভ সেনা সমাবেশ শেষ হবে দুই সপ্তাহের মধ্যে: পুতিন
সম্পরকিত প্রবন্ধ