স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক ০১ ডিসেম্বর : ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার তাণ্ডবে একেবারে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রে অন্তত ৩৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অপারেশন সাগরবন্ধুর মাধ্যমে ভারতীয়দের সকলকে শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে আনা গিয়েছে। সেই সঙ্গে বিপুল ত্রাণ পাঠানোরও ব্যবস্থা করছে নয়াদিল্লি। এমনকী ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও কলম্বোয় পৌঁছেছে দুর্যোগে আক্রান্ত লঙ্কাবাসীকে সাহায্য করার জন্য।
রবিবার রাতে শ্রীলঙ্কার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। এখনও অন্তত ৩৭০ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার কারণে, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আগামী কয়েকদিনের জন্য বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কাজুড়ে। প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
প্রতিবেশীর এহেন দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। শুরু হয়েছে অপারেশন সাগরবন্ধু। দ্বীপরাষ্ট্রে আটকে থাকা অন্তত ৩০০জন ভারতীয়কে কয়েক দফায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের আনা হয়েছে তিরুঅনন্তপুরমে। বিপুল ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার IL-76 এবং C-130J বিমান। নৌসেনার চেতক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোটমালে এলাকা থেকে অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ওই পার্বত্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার ভারতীয় হাই কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবারই কলম্বোয় পৌঁছে গিয়েছে ভারতের NDRF,HADR-এর মতো উদ্ধারকারী দলগুলি। পুত্তালম এবং বাদুল্লা এলাকায় কাজ করছে এনডিআরএফ। অন্যদিকে, ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার একটি কপ্টার। পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও পাঁচজন। ইতিমধ্যেই দিতওয়ায় মৃতদের শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী দিনে ভারত আরও ত্রাণ পাঠাবে শ্রীলঙ্কায়, জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

