স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক ০১ ডিসেম্বর : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবং অপারেশন সিঁদুরের পরে প্রথমবার ভারত সফর আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ৪-৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ভারতে থাকবেন পুতিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষত পাকিস্তানকে সায়েস্তা করা ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ নিয়ে নয়া চুক্তির বিষয়ে কথা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে ভারত ও রাশিয়া বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রকল্পে নতুন করে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে আরও দুই থেকে তিনটি এস-৪০০ সরবরাহের বিষয়ে প্রস্তাব করতে পারে মস্কো। এই বিষয়ে দিল্লি রাজি হলে রুশ সমরাস্ত্রে নির্ভরতা বাড়বে ভারতের। যদিও গত দশক থেকে রাশিয়ার অস্ত্র আমদানি অনেকাংশ কমেছে। অন্যতম কারণ মোদির আত্মনির্ভর ভারতে জোর।
আগেই ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাসের চার এবং পাঁচ তারিখ ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এদেশে আসছেন তিনি। এই সপ্তাহের শুরুতেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক পুতিনের সফরের কথা নিশ্চিত করে। দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বার্ষিক সম্মেলনে তিনি যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে তাঁর।
পুতিন যে এদেশে আসতে পারেন সেকথা শোনা গিয়েছিল নভেম্বরেই। রাশিয়ার প্রশাসনিক দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, “শীঘ্রই ভারত সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর ভারত সফরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।” নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত জুলাই মাসেও ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো যান তিনি। এবার দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতে আসছেন পুতিন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।

