স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর ।। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি গাজায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন এবং কাতারে চালানো সাম্প্রতিক হামলার জবাব দিতে মুসলিম দেশগুলোর যৌথ সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার কাতারের আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদানি বলেন, দোহায় মঙ্গলবারের ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ছিল “আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন” এবং এটি প্রমাণ করে ইসরায়েল গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
“মুসলিম দেশগুলো চাইলে নিজেদের রক্ষায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে বাধা নেই,” বলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তার এ বক্তব্য আসে দোহায় আরব ও ইসলামি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রেক্ষাপটে। সোমবারের জরুরি সম্মেলনের প্রস্তুতিসভা হিসেবে ডাকা ওই বৈঠকে ইসরায়েলের কাতারে হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানে প্রায় এক দশক আগে মিশরের প্রস্তাব করা যৌথ আরব সামরিক বাহিনী সক্রিয় করার বিষয়েও আলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। আল সুদানি সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু কাতারেই সীমিত থাকবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েল পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা চালানো হয় দোহায় একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে, যেখানে হামাসের নেতারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৬৪ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
কাতার এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের এই “বেপরোয়া আচরণ” বরদাশত করা হবে না। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় কাতার যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কাতারে হামলার নিন্দা জানায় এবং সব পক্ষকে “শান্তির সুযোগ কাজে লাগাতে” আহ্বান জানায়, যদিও তারা ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেনি।

