স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি : ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএস। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে একজনের প্রাণও কেড়েছে বিরল এই স্নায়ুর রোগ। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। যার ফলে উদ্বেগে প্রায় সকলেই। তবে আতঙ্কিত না হয়ে উপসর্গ দেখলেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
উপসর্গ:
১. হাঁটাচলায় সমস্যাই গুলেন বারি সিনড্রোমের প্রধান উপসর্গ। পা দুর্বল লাগবে। পরে ধীরে ধীরে শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অকেজো হতে শুরু করবে।
২. যত সময় এগোবে, ততই শারীরিক দুর্বলতা বাড়তে থাকবে। সেক্ষেত্রে ওঠাবসা, হাঁটাচলা সবেতেই সমস্যায় পড়বেন আক্রান্ত।
৩. গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএসে আক্রান্ত হলে পঙ্গাঘাতও হতে পারে।
৪. শ্বাস নেওয়ার হার বেড়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হলেও গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. আক্রান্ত ব্যক্তির আঙুল এবং পায়ের তলায় জ্বালা অনুভব হতে পারে।
৬. যাঁরা গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ধীরে ধীরে মুখ বেঁকে যেতে পারে।
৭. গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত কথাও জড়িয়ে যেতে পারে।
৮. রক্তচাপ অত্যাধিক হারে বেড়ে যাওয়া গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। তাই শারীরিক দুর্বলতা, হাঁটাচলায় সমস্যা অনুভব করলেই রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
৯. গুলেন বারি সিনড্রোমের ফলে প্রস্রাবে জ্বালা, এমনকী বারবার সংক্রমণজনিত সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে।
১০. বিরল স্নায়ুরোগের ফলে বুকে জ্বালা। হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গুলেন বারি সিনড্রোম থেকে বাঁচতে তাই অবিলম্বে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে:
১. ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. রাস্তার কাটা ফল, স্যালাড খাওয়া বন্ধ করুন।
৩. রান্না করা খাবার খেতে হবে।
৪. উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকদের মতে, নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি টেস্ট এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড – এই দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব। রোগীকে সারাক্ষণ নজরে রাখতে হবে। তাকে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনের সুবন্দোবস্ত রয়েছে এমন হাসপাতালেই ভর্তি করতে হবে তাকে। ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন এবং প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। বহু ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হয়েও বাড়ি ফেরে। তবে সময়মতো সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত না হলে গুলেন বারি সিনড্রোম প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে।