Friday, December 5, 2025
বাড়িস্বাস্থ্যডায়াবেটিকদের জন্য ঠান্ডা নরম পানীয় বিপজ্জনক, তা হলে ফলের রস কি নিরাপদ?

ডায়াবেটিকদের জন্য ঠান্ডা নরম পানীয় বিপজ্জনক, তা হলে ফলের রস কি নিরাপদ?

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ সেপ্টেম্বর।। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস রয়েছে। খাবারে অতিরিক্ত চিনি খান না। মিষ্টিও বুঝেশুনে খেতে হয়। এমন কোনও খাবারই খান না যেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই দলে রয়েছে হরেক রকম রংবেরঙের নরম পানীয়গুলি। খুব বিপদে না পড়লে এই ধরনের পানীয় এড়িয়েই চলেন। তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। জলখাবারে প্রোটিন এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকে। বাড়িতে তৈরি ফলের রস খেতেও ভোলেন না। দোকান থেকে কেনা বোতলবন্দি ফলের রসে কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকে। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ধরনের পানীয়ও বিপজ্জনক। কিন্তু টাটকা ফল দিয়ে বাড়িতে রস তৈরি করলে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই রক্তে শর্করার মাত্রা হেরফের হতে দেখা যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে বোতলবন্দি ফলের রস এবং বাড়িতে তৈরি করা ফলের রস একই ভাবে ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত খাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

বাড়িতে তৈরি ফলের রসে তো আলাদা করে চিনি দেওয়া হয় না, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কেন?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দোকান থেকে কেনা ফ্রুট জুসে প্রায় ১৫ চা চামচ চিনি থাকে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এই পরিমাণ চিনি রক্তে মিশলে ডায়াবেটিকরা বিপদে পড়বেন। টাটকা ফল থেকে তৈরি রস তুলনায় নিরাপদ। পুষ্টিবিদ এডিনা রাজের মতে, নানা রকম খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে বাড়িতে তৈরি ফলের রসে। তবে জুসারে তৈরি ফলের রসে ফাইবারের অবশিষ্ট অংশটুকুও থাকে না। তাই ফলের প্রাকৃতিক শর্করাও দ্রুত রক্তে মিশে যায়। কম হলেও সমস্যা সেখান থেকেও হতে পারে।

তা হলে ডায়াবেটিকদের কী করণীয়?

১) বোতলবন্দি ফলের রস একেবারে বাদ। বাড়িতে ফলের রস তৈরি করে নিলেও রোজ খাওয়া যাবে না।

২) রস না খেয়ে ফাইবার-সহ গোটা ফল খাওয়াই ভালো। পুষ্টিও হবে, দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকবে।

৩) যে কোনও ধরনের পানীয় কেনার আগে অবশ্যই বোতলের গায়ে লেখা উপাদান এবং পরিমাণ দেখে নেবেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য