স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জুলাই : বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের পাহাড়ে নির্বাচনের ঢাকে পড়লো কাঠি। দ্রুত সম্পন্ন হতে চলেছে এ.ডি.সি -র ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। করোনার অজুহাত দিয়ে ত্রিপুরা নির্বাচন কমিশন ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন পিছিয়ে দেয়। বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংগঠিত করার জন্য দাবি জানানো হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি কর্ণপাত করে নি।
শেষ পর্যন্ত জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিষয়টি আদালতে উঠার পর শুনানি সম্পন্ন হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ.ডি.সি -র ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি সত্যগোপাল চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন বলে জানান এ.ডি.সি -র পক্ষে থাকা আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা। তিনি আরো জানান মামলাটি করেছিলেন রাজেশ দেববর্মা এবং ডালিয়া দেববর্মা। আদালতের রায় সামনে আসতেই ইতিমধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সবকটি রাজনৈতিক দল। তবে শাসক দলের কাছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন অগ্নি পরীক্ষা বলা চলে। কারণ বিগত এ.ডি.সি নির্বাচনের পর পাহাড়ে তিপ্রা মথার শক্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলছে। পাহাড় দখলে আনতেই গত এক বছরে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, প্রদেশ বিজেপির সহ-সভানেত্রী পাতাল কন্যা। কিন্তু পদ্মফুল পাহাড়ে চাষ করতে পারেনি বলা চলে। পাহাড় হাতের মুঠোয় আনতে গিয়ে বহুবার নেতৃবৃন্দরা আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে যদি নির্বাচন ঘোষণা হয় তাহলে কতটা শক্তি প্রদর্শন করে ভিলেজ কমিটি নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হতে পারবে সেটা এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।