স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুলাই : জাতির উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মানব সম্পদ উন্নয়ন। নারী এবং শিশুরাই পারে মানব সম্পদ উন্নয়নের ভিত শক্তিশালী করতে। শিক্ষিত সুস্থ এবং সচেতন মা পারে একটি শিশু উপহার দিতে। শিশু এবং মায়ের শারীরিক বিকাশের জন্য সকল অংশে মানুষ দায়বদ্ধ।
এর জন্য সমাজ কল্যাণ এবং সমাজসেবা শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ৯,৯১১ টি অঙ্গনাওয়াড়ি সেন্টার রয়েছে রাজ্যে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো যাতে প্রত্যেকটি জনবসতিতে একটি করে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার খোলা যায়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরো ২৪০ টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার খোলার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাকরণে নিজ কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ২৪০ টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ৩১ টি, গোমতি জেলায় ৩৭ টি, সিপাহিজলা জেলায় ২৫ টি, দক্ষিণ জেলায় ৩১ টি, খোয়াই জেলায় ৩১ টি, ধলাই জেলায় ২৭ টি, ঊনকোটি জেলায় ২২ টি এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলয় ১৪ টি। যেখানে ব্রু সেটেলমেন্ট রয়েছে সেখানেও ২২ টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে। সমাজ শিক্ষা এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরে মাধ্যমে এই প্রস্তাবটি এসেছে। এর জন্য দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। ২০১৮ সালে পুনবুনিয়া নামে একটি প্রকল্পের পদক্ষেপ নিয়েছিল উপজাতি কল্যাণ দপ্তর। ঘরে ঘরে রোজগারের জন্য গত মন্ত্রীসভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জনজাতিরা যাতে ছাগল প্রতি পালনে স্বনির্ভর হতে পারে বলে জানান তিনি।