স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ মে : মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। মার্কিন প্রশাসনের DOGE-এর শীর্ষপদ ছাড়লেন মাস্ক। যদিও ওই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়লেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা।
ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে DOGE-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর নতুন প্রশাসনে যুক্ত করেন এলন মাস্ককে। তাঁকে নবগঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ DOGE । এই দপ্তরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, DOGE-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও এলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের।
তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা। তাছাড়া এর পর ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়েও মাস্কের আপত্তি ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কথা শোনা গিয়েছে। যদিও মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ কর্মকর্তারূপে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৩০ দিনের জন্য। সেই ১৩০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা শুক্রবারই। তবে ট্রাম্প সেই মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস্কও একদিন আগে পদত্যাগ করলেন, ফলে বন্ধু বিচ্ছেদের জল্পনা স্বাভাবিক।