স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুলাই : স্যন্দন পত্রিকার প্রবীণ সাংবাদিক তাপস কুমার দাসের উপর দুস্কৃতিকারী হামলার আজ ১০ দিন অতিক্রান্ত। পুলিশও তদন্তে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, তাই সঠিক তদন্ত এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বুধবার রাজধানীর নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানার সামনে নীরব প্রতিবাদে বসে সাংবাদিকেরা।
সাংবাদিকদের অভিযোগ ঘটনার সাথে সাথে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার রেকর্ড অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতার করতে দেখা যায়নি। পুলিশের এহেন ভূমিকায় তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে গোটা রাজ্যে। সাড়ে চার বছর রাজ্যের বহু সাংবাদিক এভাবে আক্রান্তের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু পুলিশ বারবারই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না পুলিশ। দিন দিন যেভাবে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের ঘটনার দুর্বৃত্তরা নামিয়ে আনছে তাতে আগামী দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণ। আর পুলিশ যদি নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে না পারে তাহলে এ ধরনের আন্দোলন আগামী দিনে তীব্র আকার ধারণ করবে বলে জানান নীরব প্রতিবাদের শামিল হওয়া সাংবাদিকেরা। কারণ এভাবে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী দিনে দেশ এবং রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়বে। পরবর্তী সময় একটি প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে এস ডি পি -র কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন। এস ডি পি ও আশ্বস্ত করেছেন অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি দুর্বৃত্তরা গ্রেফতার না হয় তাহলে বৃহস্পতিবার আগরতলা শহর অনির্দিষ্টকালের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান সাংবাদিকেরা।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের প্রবীন সাংবাদিক তাপস দাস। আক্রান্ত সাংবাদিক স্যন্দন পত্রিকায় কর্মরত। সেদিন তিনি নিজ দায়িত্ব পালন করে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাজধানীর মালঞ্চ নিবাস এলাকায় শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা প্রবীন সাংবাদিকের মাথা ফাটিয়ে দেয়, এমনকি হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয়। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
রাজ্যে গত সাড়ে চার বছরে শুধু প্রবীন সাংবাদিক তাপস দাস আক্রান্ত হন নি। বহু সাংবাদিককে আক্রান্ত হতে হয়েছে। স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পাল্টালেও, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির রেশ রাজ্যের সাংবাদিকদের উপর রাহু কেতুর দশার মতো বসে আছে। এই রাহু কেতুর দশার রেশ রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের উপর থেকে কবে কাটবে জানা নেই সংবাদ মহলের। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। আবারো দাবি উঠছে অতিসত্বর দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে।