স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরা রাজ্যে কোন নতুন নাম নয়। রবিবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করতে এসে বলেন তারা ত্রিপুরাকে ২০১৬ সালে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এখন তারা আবার রাজ্যে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বাঁকা পথে কমিউনিস্টদের সুযোগ করে দিতে চাইছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সিপিআইএম -এর সময় ভালো ছিল।
অর্থাৎ তারা ত্রিপুরায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে এসেছে। সিপিআইএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কিন্তু রাজ্যের মানুষ বোকা নয়। মানুষ ভালো করে বুঝতে পারছে তাদের এই চক্রান্তের পেছনে মূল কারণ কি। রবিবার রাজ্যে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলেছেন। নিজেদের অস্তিত্ব নেই বলে তারা এখন ভারতীয় জনতা পার্টিকে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে খাটো করতে চাইছে। এর তীব্র নিন্দা জানায় ভারতীয় জনতা পার্টি। রবিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কিন্তু কোন এক সময় ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিশা দেখিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। আজ সেই পশ্চিমবঙ্গের ২৫ বছরের চেংড়া ছেলেরা ত্রিপুরা রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে গালিগালাজ করছে। যা বাংলার মানুষের কাছ থেকে দেশবাসী আশা করিনি বলে জানান তিনি। তাদের মধ্যে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ত্রিপুরা রাজ্যে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
কুনাল ঘোষ সারদা কাণ্ডে দীর্ঘ সময় জেলের ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে সারদা এবং নারদ কান্ডে লুটপাট করে খেয়েছেন কুনাল ঘোষ। একইভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচার, কয়লা কান্ড, গরু পাচার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর এখন তারা সেই অর্থ দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে এসে অর্থের আস্ফালন দেখাচ্ছেন। ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে রাজ্যে এসে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত করছে। তাই প্রশ্ন তুলে সুশান্ত চৌধুরী বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে তাদের স্পষ্টীকরণ দেওয়া দরকার এত টাকা কোথা থেকে নিয়ে রাজ্যে রাজনীতি করতে আসছে। তারা ভাবছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস মহাজোট হয় ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তাদের ভোট বৈতরণী পাড় করে দেওয়া প্রশান্ত কিশোর বলছেন আগামী কয়েক দশক দেশে বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে। বিরোধীদের মহাজোট হয়েও কোন লাভ হবে না। তাই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে এসেছে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। তাই তাদের প্রলোভনে যাতে রাজ্যের মানুষ না পরে তার জন্য আহ্বান জানান তিনি।