স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৮ জুলাই : চরম উদাসীনতার পরিচয় দিল প্রাচ্য ভারতী স্কুল। বিদ্যালয়ের চলাকালীন সময়ে এক ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে তুলে নিয়ে অন্যথায় মারধর করার পরেও কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। শুক্রবার বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চলাকালীন সময়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উৎপল মন্ডলের উপর অসুরের মতো নির্যাতন করলো একই শ্রেণীর কয়েকজন সহপাঠী। উৎপল মন্ডলের বাড়ি ইন্দ্রনগর কবরখলা এলাকায়। উৎশৃংখল সহপাঠীরা উৎপল মন্ডলকে বিদ্যালয়ের পেছনের মাঠে স্কুলের পোশাক খুলে বেধড়ক পিটিয়েছে।
তার হাত, পা, পিঠে প্রচন্ড মারের আঘাত রয়েছে। সহপাঠীদের উশৃংখলতা এতটাই চরমের ছিল যে মারধর করার পর বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে তারা উৎপল মন্ডলকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অসহায় ছেলেটি বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর তার মা তার শরীর থেকে স্কুলের পোশাক খুলতেই মায়ের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। তারপর পরিবারের লোকজনেরা তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করায়। শনিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যদের অবগত করার পরেও তারা বিষয়টি এখন পর্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি বলে অভিযোগ। এটাই প্রমাণ হয়ে গেছে সোমবার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা জানতে চেয়েছেন এই ঘটনার পর তিনি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন আহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখা করেছেন। তাকে ১০ থেকে ১২ দিন বিশ্রামে থাকার জন্য বলা হয়েছে। তার হাতে দুই টাকা এবং ফল, দুধ তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত সেইসব সহপাঠীদের অভিভাবককে বিদ্যালয়ে ডাকা হয়নি। যেসব ছাত্রছাত্রীরা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তারা ছোট বলে তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে জানান। এবং এ বিষয়ে যাতে অভিভাবকরা গুরুত্ব দেয় সেদিকে তিনি দেখবেন। সংবাদ মাধ্যমের চাপে পড়ে তিনি জানান অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডাকা হবে। প্রশ্ন হল ঘটনার চারদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। এ ধরনের ঘটনা যদি এই বিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় পাঠাতে একাধিকবার ভাবতে হবে অভিভাবকদের।

