স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ জুলাই : রাজ্যে সর্বত্র স্মার্ট মিটার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।অভিযোগ স্মার্ট মিটারে স্থায়ী চার্জ, শুল্কের পরিমান, বিভিন্ন, ফুয়েল চার্জ সহ আরো অন্যান্য চার্জ দিতে হচ্ছে লোকজনদের। গ্রাহকরা যে পরিমান বিদ্যুৎ ব্যাবহার করছে তার থেকে বেশি পরিমানে চার্জ দিতে হচ্ছে । বিগত দিনে এমন দেখা যেতো না। তাই স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকে লোকজনদের যে পরিমানে বিল আসছে তা সকলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের পশ্চিম পিলাক এলাকায় অধিকাংশ লোকজন দৈনিক কাজ করে নিজেদের পরিবার পরিচালনা করেন। এরই মধ্যে দেখা যায় এলাকায় স্মার্ট মিটার বসানোর পর এলাকার লোকজনদের যে পরিমানে বিল আসছে এতে করে সকলকে বিল পরিশোধ করে পরিবার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তির এক লক্ষ টাকার অধিক বিদ্যুৎতের বিল এসেছে এমনটাই বলেন।
তাই সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্মার্ট মিটারের বিরোধীতা করেন এবং এই বিল যন্ত্রনা থেকে পরিত্রানের জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান। এখন দেখার বিষয় পশ্চিম পিলাক এলাকার লোকজনের সার্বিক সহযোগীতায় বিদ্যুৎ দপ্তর কিপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করে। বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, যে বিদ্যুতিক মিটার মানুষের বাড়ি ঘরে বসানো ছিল সেগুলিতে বিদ্যুতিক ইউনিট সঠিকভাবে উঠছিল। কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু আচমকা সেই মিটার পরিবর্তন করে স্মার্ট মিটার বসানোর পেছনে মূলত কি কারণ সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। মূলত আসল রহস্য হলো দেশের কিছু পুঁজিপতি মিলে এই নতুন মিটার তৈরি করেছে। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে সেসব পুঁজিপতিদের বরাত দিয়েছে সরকার। তাই বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে বাধ্য করা হচ্ছে পুরনো মিটার বসাতে। এখন দেখা যাচ্ছে মানুষের বাড়ি ঘরে অভাবনীয় বিদ্যুৎ বিল আসছে। এতে পরিষ্কার দুর্নীতিতো আছেই, লুন্ঠনের ভাবনাচিন্তাও আছে। তা না হলে মানুষকে এই স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য জোর করত না সরকার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পশ্চিমবঙ্গের যখন তৃণমূল সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর চেষ্টা করেছিল তখন কেন সেই রাজ্যের বিরোধী বিজেপি বিরোধিতা করেছিল? সুতরাং জোরজবরদস্তি করে বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানুষকে হজম করা যায় না বলে জানান তিনি। তবে বিদ্যুতিক স্মার্ট মিটার নিয়ে বর্তমান সরকার জনগণ এবং বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

