স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ অক্টোবর : রাজ্য মন্ত্রী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুটি এন জি ও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে মেটেরিয়ালস প্রদান করার জন্য। এবং অব্যবহৃত স্কুলগুলির জন্য সরকার বছরে দুইবার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সংস্থাগুলিকে রাজ্যে ডেকে আনতে আকৃষ্ট করা হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ধংসাত্নক করা ছাড়া আর কিছু নয়।
বেসরকারিকরণের হাতে তুলে দিতে চাইছে রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে। বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যবহার করতে যে উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা করছে সরকার। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার প্রয়োজন। নয়তো আগামীদিনের প্রজন্মের ব্যাপক ক্ষতি হবে। শনিবার ছাত্র-যুব ভবনে এস এফ আই এবং টি এস ইউ পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেন এস এফ আই রাজ্য সভাপতি সন্দীপন দেব। তিনি জানান, সরকারকে এ ধরনের বৈষম্য মূলক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়বে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো বলেন সম্প্রতি রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি ঐতিহ্য ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে। মানুষ জোট সরকারকে শিক্ষা দিতে আসন্ন নির্বাচনে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন টি এস ইউ সাধারণ সম্পাদক নেতাজি দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।